বুকের গহীনে তুমি জ্বেলেছিলে যে আলো সেই শুভ্র আলোয়
ভরেছিলো জীবন। অগনিত শহীদের লোহু অন্তরের ভেতর
মৃত্যুকে জয় করে উড়িয়েছিনু নতুন নিশান ।
জীবনের অলিগলি পথে একেছিনু
নিত্যনতুন যাপিত জীবনের আলোকচিত্র ।
যেখানে ছিলো না কোন সর্প বিচ্ছু হিংস্র প্রাণীদের আনাগোনা ।
তোমার আবেগীয় কন্ঠে প্রকাশ পেত নিরন্তর ভালোবাসা ।
দেখেছি অশান্ত মন মস্তিষ্ক তোমার নিপীড়িত শোষিতের দুঃখ লাঘবে
ঘুমের ভিতরেও থেকেছো সদা জাগ্রত ।
আবার চিন্তা দুঃস্বপ্ন সব ঝেড়ে ফেলে আলোকিত জীবনের
রঙিন ডানা মেলে  দিগন্ত দিত পাড়ি ।
তপ্ত মরু দেহ তোমার বৃষ্টি স্নাত হাসিতে হতো স্নিন্ধ ।
সোনালী আশায় ভরে যেত জীবন ,পেতাম স্বপ্ন বাস্তবায়নে আশাবাদ ।
হঠাত দেহে পেড়েক ঠোকার যন্ত্রনা, কলিজায় নাড়িভূড়িতে
বিষক্রিয়ায় একাকার হয়ে আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন ভালোবাসা
সবকিছু কাফনে মুড়িয়ে ফেলে চলে গেলে ।
নেতাজী ,আমি আজও তোমার অপেক্ষায় অহর্নিশী থাকি জাগ্রত ।
তুমি নিস্তব্ধতাকে ভঙ্গ করে অংকুরিত বীজের মত কন্টকাকীর্ণ
মৃত্তিকা ভেদ করে সবুজ পাতা মেলে দাও সুর্যের দিকে ।
তোমার বজ্র কন্ঠে শুনিয়ে দাও অভেদ বাঙ্গালীর ভালোবাসার গান ।
যা আজ এই বাংলায় বড় বেশি প্রয়োজন ।