গণতন্ত্র আজ কোমায়
এ ভুস্বর্গের মানুষেরা যুগে যুগে
শতাব্দীর পর শতাব্দীতে ভুলে দেয় পা ।
বারংবার তাদের বিশ্বাসে ঢেলে দেয় বিষ ।
বৃটিশ পাকিস্তনীদের প্রেতাত্বা বাংলা মাতার
কিছু কুলাঙ্গার সন্তানদের উপর করে ভর ।
ভক্ষণে নিয়ম নীতির বালাই শুন্য
ইচ্ছাতে বমি করে পেট করে ভুখা
চিবিয়ে চিবিয়ে খায় স্বাধীকার স্বপ্ন,সাম্য শান্তি
ন্যায় বিচার আচার ।
রক্তে কেনা ভাশা আজ অবজ্ঞায়,ভিন্ন ভাষা
অর্জনে ভোগবিলাসীর জীবন যাপনে ভূমাতার সম্পদ
লুট করে প্রবাসে পাড়ি ।
কিছু বিকৃত ষোড়শী বাংলার রমণীরা সতীত্ব পরীক্ষায়
বেহুলার মতো অগ্নির ভেতর না হেটে
সতীত্ব নষ্টের প্রতিযোগিতায় মাতে ।
রাষ্ট্রীয় মসনদের সূখ পেতে নানা কৌশল আটে ।
জাতীয় সুশীল বুদ্ধিজীবিরা কিছু লুচ্চারা তাদের প্রশংসায় মাতে ।
অন্যদের এখন তাদের কলম তুলিতে অংকিত হয় না
শাসকের রাক্ষুসে বীভৎস মুখ ।
লেখা হয় না “অদ্ভুত উটের পিঠে দেশ ।‘’
“দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার হাতে “ কিংবা
স্বৈরাচার নিপাত যাক,গণতন্ত্র মুক্তি পাক ইত্যাদি
কাব্যিক কথামালা । উনারা লোভ লালসায়
সুচতুর শাসকের প্রশংসায় মাতে ।
অথবা গুম খুনের ভয়ে পালিয়ে বেড়ায় ।
কথন আজ অতি মিথ্যা কথায় বন্দী ।
কাজী নজরুলের চেতনায় শুন্য জাতি এখন
লোভাতুর চোখ গিলে জাতীয় সম্পদ
সম্ভ্রম,জবাবদিহিতা শুন্য গণমানুষের অধিকার ।
চেতনা,আশা আকাংখা ধূলিসাৎ করে
বৈষম্যের পাহাড় গড়ে ।
রক্তাক্ত রক্তক্ষরণে গনতন্ত্র আজ “কোমায়”