অমাবশ্যার ঘোর অন্ধকার রাত্রি
শ্রাবনের আকাশ কাদে টিপটিপ ঝুম
তার তালে চারদিকে কান্নার পরে রোল
মৌমাছি ফুলা বসে না বলে
ষোড়শী বউ কাদে বৃদ্ধা তালুকদারের ।
প্রবাসীর অর্থে দেশ মোটা তাজা সুন্দর
সহযাত্রী তার বিরহে কেঁদে কেঁদে শুকায় যৌবন ।
জুয়ায় হেরে মদ খেয়ে পিটায় চৌধুরী
ঘৃনায় লজ্জায় মুখে কাপড়  দিয়ে কাঁদে সহধর্মিনী ।
প্রায় গভীর রাতে দরজায় নক করে
সমাজসেবক লেবাসে ঢাকা কিছু শয়তান ।
জমিতে লাঙ্গল চালিয়ে চাষাবাদ করতে চায় ওরা
বিধবা সুন্দরী কাজীর বউ শিশু কন্যা বুকে নিয়ে কাঁদে
খোদাতে চায় সাহায্য ।
বস্তির ক্ষুধার্ত শিশু ক্ষুধার যন্ত্রণায়
মধ্য রাতে ঘুমের ভেতর দেয় চিৎকার ।
বেশ্যারা খদ্দের না পেয়ে গুমরানো দিয়ে কাঁদে
ভাবে ফুটপাতে বসে ।
কি করে জুটবে পেটের অন্ন , দিবে বাসা ভাড়া
ওদের সাথে তাল মিলিয়ে কাঁদে
নিশিজাগা কুকুর , বিড়াল কিছু অজানা পাখি
দূর থেকে ভেসে আসে শিয়ালের হাক ।
নিষুতি আমি বেদনার্ত কান্নার আওয়াজে জেগে উঠি
সমাধান খুজি করতে চাই প্রতিবাদ কিন্তু পারি না ।
আর না পারার যন্ত্রণায় আমিও কাঁদি ।
আমাদের কান্না গভীর অন্ধকারে হয় বিলীন
কখনো  শ্রাবনের বৃষ্টির সাথে হয় একাকার
কখনো শীতের কুয়াশায় পড়ে ঢাকা
আমাদের নিশীকান্না কেউ শুনতে চায় না
কেউ শুনে না , কেউ না , কেউ না ।