নুর হোসেন তুমি আজ কোথায়
ফিরে আসো এই বাংলায় ।
তোমাদের নিয়ে যারা করেছিল
ভোট ও ভাতের অধিকারের আন্দোলন
হটিয়েছিলো স্বৈরাচার
তোমাদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলা পেয়েছিল গণতন্ত্র ।
আঁতুড় ঘরে লবন খাইয়ে মারতে চেয়েছিল
যে শিশুটিকে বারংবার ,
অনেক ঘাত প্রতিঘাতের ভেতর
সে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল !
তাকে আজ নবরুপে স্বৈরাচারের পিচাশ হাত
গলা টিপে ধরেছে ,প্রাণ তার ওষ্ঠাগত ।
ভোটবিহীন উলংগ নির্বাচন
বেড়ায় খায় ক্ষেত নির্বাচক করে পক্ষপাত
আজব বিরোধী দলহয় সরকারের মন্ত্রী,বিশেষ দূত ।
ওরা আজ গৃহপালিত গ্রাম বাংলার অবলা অবহেলিত স্ত্রী
সন্তান উৎপাদন উনুনে দেয় আগুন ,
সংসদের কোরাম করে পুরণ ,
উত্থাপিত বিলে দেয় অন্ধ ভোট ।
বিনিময়ে পায় উদোম পতাকায় গাড়ি বাড়ি
ব্যবসা বানিজ্যের সুবিধা সুখ শান্তির জীবন ।
নুর হোসেন বলতে পারো এ কেমন গণতন্ত্র ?
প্রতিপক্ষকে ঘ্যেল করতে
মানুষ মারে মানুষ পোড়ে সম্পদ করে ধ্বংস ,
নিরীহ মানুষ জিম্মি করে ফায়দা লুটতে ব্যস্ত ।
নুর হোসেন বলতে পারো এ কেমন গণতন্ত্র ?
শাসক গোষ্ঠী উন্নয়নের নামে করছে স্বেচ্ছাচারিতা
গ্রাস করছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ।
অথচ বলা যায় না করা যায় না প্রতিবাদ,
মিটিং মিছিল করতে গেলে ধরে,মারে,করে জুলুম ।
গুম খুন দেয় জেলের ভাত ।
নুর হোসেন ,এই গণতন্ত্রের জন্যই কি
তোমরা দিয়েছিলে প্রাণ ?
“ তোমাদের রক্তে কেনা গণতন্ত্র আজ খোয়ারে
তোমাদের রক্তে কেনা গণতন্ত্র আজ খোয়ারে –“
নুর হোসেন তুমি শহীদদের নিয়ে
আজ ফিরে এসো এই বাংলায়
আরো একবার জামা খুলে
বুকে পিঠে লিখে নাও সেই ফেষ্টুন ,
তোমাদের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে এই বাংলার
আনাচ্র কানাচে গণতন্ত্রকামী মানুষের
বিজ্র কন্ঠে মুখরিত হউক সেই শ্লোগান –
“ স্বৈরাচার নিপাত যাক
গণতন্ত্র মুক্তি পাক “