প্রিয়তি,তোমার আমার ছবিগুলো ফাঙ্গাস পড়ে
কেমন যেন আবছা আবছা হয়ে গেছে। ।
চিনতে কষ্ট হয় তোমাকে, নিজেকেও।
তোমার মনে আছে ?
এক মেলাতে দুজনে ছবিগুলো তুলেছিলাম
কি যে প্রাণবন্ত ছবিগুলো !
যেন সিনেমার কোন জনপ্রিয় জুটি ।
কত নিশি পার করেছি ছবিগুলো দেখে দেখে ।
তবুও তৃষ্ণা মেটেনি নয়নের,হৃদয়ের ।
কি যে মায়া টান !
ছবিগুলো দেখে দেখে সিথানে নিয়ে ঘুমিয়েছি
বছরের পর বছর ।
মনে হতো এইতো আছো তুমি
অতি নিকটে এক সিথানে শুয়ে ।
জানো, তোমার চুলের মিষ্টি গন্ধ
গায়ের শুঘ্রাণ ও পেতাম ছবি থেকে ।
সত্য বলছি এক রত্তি মিথ্যে নয় ।
তোমার ভালোবাসার বীজ হৃদপিন্ডে বুনেছি
সেই যে কবে – মনে নেই ।
সেই বীজ থেকে চারা, বছরের পর বছর
ভালোবাসার মুল শাখা প্রশাখার জটগুলি
হৃদপিন্ড গ্রাস করে পেওতিটি শিরা উপশিরায় !
যখন দুজনের ভালোবাসা হৃষ্টপুষ্ট পরিপুর্ণ যৌবনা
তখন হঠাত ভালোবাসার গাছটিকে কি এক অদৃশ্য শক্তি
হেচকা টানে উপড়িয়ে নেয় । কি বীভৎস কুৎসিত ভয়াবহ !
মুহুর্তে হৃদপিন্ডে বিরাট ক্ষত,শিরা উপশিরাগুলো ছিন্ন ভিন্ন ।
শরীরের ভিতর বাহিরে অদৃশ্য রক্তক্ষরণ ।
বিচ্ছেদ যন্ত্রনায় আমি ঘুমাতে পারি না দিবা কিংবা রাত্রীতে ।
ঘুম এলেই তুমি আমি হাজির,দুজনের চেনা অচেনা মুখগুলো
বিষাক্ত সরীসৃপ হিংস্র মাংসাশী প্রাণী হয়ে দেখা দেয়
মারে ছোবল,ছিড়ে ছিড়ে খায় মাংশ
আমাদের চিৎকারে আকাশ পাতাল হয় ভারি ।
বিষ যন্ত্রনায় জেগে উঠে বিছানায় করি ছটফট ।
এমনি করে আমি হয়ে যাই উন্মাদ ।
ডাক্তার কবিরাজের কত পথ্য,ঔষধ,তাবিজ,কুবজ
জিন হুজুরের মন্ত্র !
অবশেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেই বলা হোল
সব নাকি অদৃশ্যের লিখন,চাইলেই ইচ্ছে হয় না পুরণ ।
অতঃপর জোর করে আমার হৃদপিন্ডে
আরেকটি ভালোবাসার বৃক্ষ করি রোপণ ।
সেই গাছ ফুল ফল দিয়ে প্রকান্ড আকার ধারন করেছে ।
দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা ভুলিয়ে স্বর্গীয় সুখে ভরে দেয় আমায় ।
তারপরো মাঝে মাঝে হৃদপিন্ডের ক্ষত থেকে রক্ত ঝরে ।
তোমার ভালোবাসার শিকরের কিছু অংশ
রয়েছে বুঝি  আজও হৃদয়ে ।
তা থেকে মাথা চাড়া দিয়ে নতুন পাতা গজায় ।
কিন্তু বেড়ে উঠতে পারে না ।
বড় গাছের ছায়ায় ছোট গাছ বাচে না ।
তবুও আবার নতুন পাতা গজায় আবার ঝরে, মরে
একেবারে নিঃশেষ হয় না ।
এমন  কেন  হয় আমি জানি না ।
তোমারও কি এমন হয় প্রিয়তি ?