"বিশ্বনাথ"


গড়েছ তুমি এই সর্বভূমী-,
শুধুই মানব কল্যাণে অন্ত দিনের স্বামী,,


চেনা হয়নি যা হাজার ভজন সাধনে,
তুমি যে করো বাস অদৃশ্য অণু প্রাণে,,
হে বিশ্ব জননী, তুমি কর্ম রত ব্যস্ত
ভাঙা গড়া ভাগ্য সৃষ্টিতে,
বুঝতে পেরে পাইনি তবু নয়নের এই দৃষ্টিতে ।।


শত জনমে অকাতরে,
তোমায় পাবার আশা করে,
কেটেছে আমার সারা বেলা হে বিশ্বনাথ,,
অনিল অম্বরে,অরুণ অর্ণবে জলদ ধারায়,
শূন্য নিলয়,পূর্ন্য তপনে আছো তুমি সিন্ধু তলে বালুকার সাত।


কত কর্মে কত মর্মে কত ধ্যানে
তোমায় ডেকেছি কত রুপে কত জ্ঞানে,,
দাওনি দেখা কও নি কথা
বুঝতে পারিনি তোমার ব্যথা
তুমি মনুষ্য প্রেমে বিভোর
লুভি নাদান নাস্তিক অকৃতজ্ঞ দের মর্ম বেদনায় কাতর


ওগো স্বামী
নাও না টেনে তোমার কৃপা রথে
আমার সার্থ তোমায় পাওয়া, তোমার পূজা তে ,,
সেদিন করিয়ো পার, বিজলীর আকার,(পোচেরাত) প্রভু নিঃসন্দেহে
জানি তুমি দয়ার স্বামী, অসীম মায়ার জননী,,


নির্মলো, মঙ্গলে হে বিশ্বনাথ
আমি আজ কচি বালক তোমার চরণে লুটায় দিলাম
আপনা রে বড় রাখার সকল অগ্নি পাত
হে বিশ্বনাথ


হাজার বাসনায় আপনার সাধনায় ছুটেছি তোমা হতে বহু দূর
আজো হয়নি পাওয়া, কব হয়নি যাওয়া
রয়েছি ডুবে কৃষ্ণন্ন পক্ষপুর,,


তুমি তো ব্যস্ত প্রভু তব অবসর,
মানব কল্যাণে নির্ঘুম স্থির,,
ওগো প্রেমময় অসীম মায়াময়
তোমার করুণায় সার্বভৌম-,
পরলোকে আমারিত হবে জয়,,


দুর্ভাগা দূর ভিক্ষু আমি, তোমার সন্ধানে হেঁটেছি
দেশ হতে ঔ  কত দেশে,,
দুর্গম দূর্জয়ে জয় করেছি তোমায়-
ফিরে এসে মোর শূন্য নীড় শেষে,,


কত বাবে,কত ভাবে,কত লাজে, কত নির্লাজ্জে
কত তালে কত ছন্দে,কত গন্ধ ফুলে
এসেছো দোলে,মোর কোলে,বসেছ কাছে,
আমার অন্ন লয়ে,,


হে বিশ্বনাথ,,


আমার সার্থ গড়েছ- গগনো বুকে চন্দ্র তারকা
তপনের কিরণ,পর্বতো ঝর্না ধারা


সস্য অলকে বিন্দু কনা শিশির
বায়ু মন্ডলে আয়ু
পক্ষী বৃক্ষে আরো কত কি.....,,


দিনকে করেছো রাত, ওগো ভগবান ওগো ঈশ্বর
সবি মিথ্যে শুধু তুমিই অবিনশ্বর
শূন্যের উপর তোমার বসবাস
সকলের মাঝে থাকো তবু না তোমায় কেও না দেখে,,


লক্ষ নিযুত কোটি আলোক বর্স দূরে থেকেও কাউকে না করো নিরাশ
নদীর কলতানে পাখিদের কলরবে
হে জগত পিতা তোমার সকল সৃষ্টি-
তোমার প্রেমে উদাস মনে যবে,,


জানি তোমার দয়ায় টেনে লও
অযোগ্য নাস্তিক কুপুরিদেরো
সকল জনম, সকল পরম ,সকল পুলক প্রয়াস
আধো করোনি দুঃসাধ্য বলে নিরাশ,,


সার্ব ভূমি দাতা হে প্রভু বিশ্বময় বিশ্বনাথ
তরু নে তারুণ্যে যৌবনে দৈহিক মিলনে
যুবক - যুবতি,বৃদ্ধ-বৃদ্ধা- সকলের প্রয়োজন ক্ষমতা দিয়েছো,
সকল সকলের নিজ নিজ সাথ,,


আদিত্য কিরণে প্রবল হিমালয়
চাঁদনী জ্যোতিতে, অনাবৃত আধার, সৈকত নীলিমায় কি প্রেমালয়
সকলের অধিকার
প্রভু করেছো তুমি নিপুণ অঙ্গীকার
সকলের তরে সকলের মঞ্জিল নিবাসে


বসন্তের বাতাসে চৈতি র অলস
ঘুমকাতুরে, দুশ্চিন্তা অষ্টপ্রহর
হাত বুলিয়ে গেছো প্রভু আমার শরীরে,
পাহারায় আছো জানি আজো আমার ভাঙা দুয়ারে,,


হে বিশ্ব কর্মকর্তা বিশ্বনাথ,,
তুমি মানুষেরই মাঝে থেকে মানুষ সৃষ্টি করে
ইহ পারলৌকিক কল্যাণ চিন্ত চিত্তে সারা দিবা রাত
কর্ম হীন জীবনে,,


অকুল অর্ণব হতে তুলেছ মোরে তরাত
হে অনন্ত কৃপা র বিশ্ব পালন কর্তা বিশ্বনাথ ।।


[রচনা কাল,১৫/১/২০০৭ ইং]