"প্রেম-জোৎছনা"


চাঁদের অষ্টম কি দশমী রজনী সেদিন,
পূর্ণিমার আলোতে আলোয় জগৎ যেদিন,,


হিমেল শান্ত বাতাস,ততক্ষণে গাছের পাতার টিপ টুপ কুয়াশার জল,
বাতাসে ভাসছিল ঘ্রাণ কি যেন কি ফল,,


পৃথিবী ঘুমে আচ্ছন্ন, নীরবতায় প্রকৃতি ,ঘোমটা দিয়েছে শরমে লাজে,
ইঁদুর কুনোব্যাঙ গুলো ব্যস্ত আহারে র কাজে,,


পাখিদের গানের সুর খোঁচা দিয়ে যায় কানে,
বাঁদুরে যাওয়া আসা অবাধে গাছে গাছে,,


অনেক ক্ষন কেটে গেলো আমাদের গভীর নীরবতা,
চাঁদের ঝলকে বার বার মাথা ঘুরিয়ে দেখছিলাম-
তোমায়,লজ্জায় ভেঙে পড়া মুখ,লম্বা চুলের সিঁথা।।
সেই জোনাকি রাত প্রথম তোমার আমার, প্রকৃতি পৃথিবী,,
স্পর্শ হয়নি দুজনে, কোন কথা হয়নি, হয়নি চোখে চোখে,
চোখ পড়া,মনে আছে কি লাজুক দেবী?


হঠাৎ চমকে উঠলে! দেবদারু গাছে বাদুড়ের ঘাপটি ঝনঝন আওয়াজ শুনে,
ভয় ভয়,যেন শরমের মাথা খেয়ে আমা দিকে তাকালে নিরীহ প্রাণে,,


প্রেমের গভীরতা জোৎছনার সরলতা হৃদয় স্তব্ধ,
হঠাৎ কপাট খোলা শব্দ!,,


তড়িৎ গতিতে স্ব স্ব গন্তব্যে,,
ফিরে তাকলে আমায়,আমিও তোমায়,
যেন তাকাল চাঁদ, তাকাল বাঁশের ডগায় বসা পেঁচা,,
তাকাল জোছনা হিমেল কুয়াশা, তাকাল মাথার উপর থাকা বেল- বড়াই গাছের ছায়া,
পিছু পিছু আসতে লাগলো সাদা গোলাপের গন্ধ


রাতের শেষ ভাগ, চাঁদনী র বাড়ি যাবার পথ
প্রকৃতি সাজিয়ে বরন করলো প্রেমের যাত্রায় রথ।।