আমি আমার দিকে চেয়ে রই, অবিরাম
নিঃসঙ্গ ক্ষয়িষ্ণু দেহের ভাঁজে, খোঁজে ফিরি নিজেকে
আঁধার ক্ষণিকা ফুঁড়ে গনগনে আগুনে পোড়া স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায়,
অসুখে মোড়ানো বিষন্ন প্রান্তরে।
তবুও আমি চেয়ে রই------
জীবনের আলো নিভে যেতে যেতে
ক্রমশঃ চোখ বুজে আসে নীরব কোলাহলে,
নৈঃশব্দ্যের কান্নার নোনাজল ঝাপসা করে দেয় দুরের সূর্যময় পথ।
কেনো যে আমি স্বপ্ন দেখি,ঝাপসা কাতর চোখে
অপেক্ষার প্রহর গুণি তীব্রতার দূরন্ত শৈশবের
আলোছায়া দ্যূতি ছড়ানো হিরন্ময় যৌবনের।
কিন্ত, স্বপ্নের মাঝে-----
তখন'ই পাণ্ডুর নখ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে
চামড়ার নিচে খুবলে খাওয়া মরা মাংস।
বের হয়,হাড়ের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা,
সাপের ফোস ফুসানির ফণার আওয়াজ
ছোবলে ছোবলে হয়ে পড়ি বিষাক্ত আঁধার।
বাস্তবতার মুখ বিকৃত করে
নিজের থাবায় চেপে ধরি অন্ধকারের স্তন,
তীব্র ব্যাথায় তমসা নেমে আসে চারদিকময়
এক বুক যাতনা নিয়ে।