বেঁচে থাকার তাড়নায় আৎকে উঠে
চারদিক হাতড়ে বেড়াই, চলে যাওয়া দিনের জন্য
প্রশান্তির খুঁজে চোখ রাখলেই--
ছেনাল সময় উরুৎ দেখায় এমন বিষণ্ণতার দিনে।


একদিন যারা পাশে বসে হাতে হাত রেখে কথা দিত
সে কথক কথা--
এখন আর বুকে জড়িয়ে বলেনা কেউ, পাশে আছি
অথচ সবাই দিব্যি আছে-  শুধু আমি- -
একরাশ বিষণ্ণতা কুড়িয়ে অপেক্ষায় থেকে ভাবি
চারপাশের মানুষগুলি কেনো আজ দুর দিয়ে হেঁটে যায়?
আমারতো কোন জ্বর নেই, কাশি নেই, গলা ব্যাথা নেই,এমন কি শ্বাস কষ্টও,
তবুও কেন হেঁটে যায়- - দুর দিয়ে?


বারান্দা ছেড়ে দু'পা ফেল্লেই সূর্যের তীব্রতা এখনও গায়ে লাগে
স্পর্শ পাই ঝিরঝিরে বাতাসের,
তবুও কেন,কেউ কাউকে স্পর্শ করেনা? ভালবাসেনা?
কবিজানা হাওরের আলক্ষেত ধরে হাঁটলে- -
ফলন্ত ধানের গন্ধে এখনও মোহিত হই,
কবিজানার বুক ছিঁড়ে বয়ে চলা
সাইডুলি নদীর ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের তীব্রতা এখনও বুকে লাগে ভীষণ।
সেই তীব্রতা আমায় যেনো ডেকে লয় তোলে লয়,
পরম মমতায় ক্লান্ত অবসন্ন দেহে।
তবুও কেন স্বার্থপরের মতো সবাই বাঁচতে চায় একা!
অথচ কেউ ভাবেনা, একা কখনও বাঁচা যায়না।