কেনো যে অনেক রাত আমি জেগেছিলাম,
কি এমন প্রয়োজন ছিলো?তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখার ঘনকূয়াশার আচ্ছাদনে।
ভালবাসারা স্পষ্ট কূয়াশার চাদরে আবৃত,
ঝাউ গাছের বিরামহীন কান্না,রাত জেগে শুনার----
কি এমন প্রয়োজন ছিলো?
একি! জীবনের না পাওয়ার অস্থিরতা,ডুকরে কেঁদে উঠে নিজের অজান্তে।
তাই আজ নিজের'ই কাছে,নিজের জীবন প্রশ্ন সাপেক্ষ্য,
কি এমন প্রয়োজন ছিলো?
গোলাপের গায়ে টোকা দিয়ে-----
নখের সূচারু আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করার।
রাতজাগা সিরাজগঞ্জের পূর্ণিমার বোবা ক্রন্দনে,
কোটি,,কোটি প্রতিবাদহীন মানুষের, করুণা করার প্রয়োজন ছিলো কি?
আজ সবই প্রশ্ন সাপেক্ষ্য,কেনো আমরা স্বাধীন হলাম?
করুণার কাছে প্রতিবাদ করলাম কত্তো----
নির্লিপ্ত,, বজ্রকঠিন রাতজাগা লাল ঠকঠকে চাহনীতে,
কিন্ত কই আমার চাহনীর ভাষাতো তারা বুঝেনি।
মিটি মিটি বাঁকা ঠোঁটে  হেসে
করুণা করে ক-ত্তো রকমের কথা,
কি করবে দেশটাই এমন।
কি লাভ হল প্রতিবাদ করে----
করুণা কি ছাড়ল আমায়?
কেনো যে অনেক রাত আমি জেগেছিলাম,
কি এমন প্রয়োজন ছিলো? সন্ধ্যা থেকে ভোর অব্দি।
অস্ত্রের মুখে তুলে নেওয়া,সম্ভ্রম হারানো মেয়ের উহঃ ছোট্ট শব্দ শুনার।
যেখানে নির্লিপ্ত রজনী তাদের সহযোগী,
যেখানে স্বাধীনতা, প্রশ্নসাপেক্ষ্য-শুধু পূর্ণিমারদের জন্য
স্বাধীনতার পতাকা আজ বিষন্ন, লজ্জায় অবনত।