মগ্নতা ভেঙে নিজেকে প্লাবনে ভাসাই
পাড় ভাঙা নদীর মতো দু'কুল ছাপিয়ে
জন্মের ক্লেদ ভুলে নিভৃতে দাঁড়াতেই
বে-শুরে বেঁজে উঠে আমার সুরেলা বাঁশি।
তৃষ্ণায় নিমজ্জিত নিমগ্ন রজনীর চাঁদের আলোর নহর
জ্বলে বারে বার উদরময় ক্ষুধা---
বেড়েই চলেছে অবিরাম।
কেনইবা নীরবে পোড়াও আমায়
এক ঝলকে কেনো ঝলসে দাও উদরের খুব কাছে হৃদয়খানি।
আরক্তিম অধর ছুঁয়ে বিন্দু বিন্দু ঘাসের শিশির
তৃষ্ণার্ত শুকনো ঠোঁটের গোপন চুমো
কি অনায়াসে লুকিয়ে রাখি---
ঠিক যেনো লাজুক ষোড়শী কিশোরীর প্রথম প্রেমের মতোন।
অথচ বিষণ্ণ কষ্টের ভাঁজ খুলে, যখন বৈশাখী আকাশ কাঁদে
তখন'ই লোভাতুর কৌশলে লাঙলের ফলায় ছিন্ন ভিন্ন হয়,
স্বযত্নে রাখা আমার স্বপ্নের জমিন।