কি আশ্চয্য----- ভালবাসা!
এখানে কেমন করে এলো!
চারদিক পিচ্ছিল দেয়াল বুনো ঝোঁপ
হিংস্রতা খামচে ধরে আছে সোনালী সময়,
অন্ধকারের গাঢ় রঙটাকে আরো গাঢ় করে, নিয়ে যায় অতল গহ্বরে।
তখনো ----
স্থাণুর মত দাঁড়িয়ে থাকা গভীর কালো, দুটো চোখ প্রশ্ন করে,
কে?---- ও, ভালবাসা?
এ সবই কি স্বপ্ন, সবই কি মায়া?
নাকি তারচে,জঠিল কোন অংকের হিসাব?
প্রশ্ন, প্রশ্নই থেকে যায়।উত্তর মেলেনা-
সাঝেঁর আঁধারে ডুবে যায় আশার সমস্ত আলো
উর্দিপড়া রাক্ষসের বুটের তলায়,পিষ্ট হয় ভালবাসা।
খানিক নীরবতায় মেলে যায় ইতিহাসের পাতা
কেঁদে উঠে পলাশী, ঝাঁঝরা হয় মোহনলাল।
সময়ের ব্যবধানে বুকের আওয়াজ ভাসতে ভাসতে,
রক্তাক্ত হয়, ধানমন্ডির ৩২নম্বর
কেঁদে উঠে বঙ্গভবন ক্ষতবিক্ষত মানবতা।
সেই থেকে আজো চলমান ত্রাসের রাজত্ব,
বহমান নদীর অবিরাম  স্রোতের মতো।
তবুও বেঁচে আছি, এক বুক শূন্যতা নিয়ে,
নতুন কোন পথের খোঁজে, নতুন কোন আশায়।