এখনো বৃষ্টি নামেনি
বজ্রপাতের খন্ড ছিঁটকে পড়ছিল চারদিকময়
জীবন্ত যা কিছু------
সেই আগুন নেভাতে, নেভাতে হাত, পা, হৃৎপিণ্ড ক্লান্ত,
অন্ধকারের প্রকোষ্ঠের পর প্রকোষ্ঠ  বৃষ্টি ফলার প্রশান্তি মূহর্তে বিলিন হয়।
ভেতরে বাসরত কোন রমণির ছায়া বিন্দু  এসে---
ভিড় করে সেই অপার্থিব চাওয়ার মাঝে,
মূহর্তে অসীম স্তব্দতা, নিঃশ্বাসের টুঁটি চেপে ধরে
ভেতরের প্রগাঢ় অন্ধকারে ----।
জানালায় জমে থাকা আবছা আলোরচ্ছটা
ঘামের স্রোতে তীব্র হয় ভেতরের খড়া,
আচমকা স্তব্দ হয়ে আসে সর্বাস্তিত্ব।
প্রসারিত দৃষ্টির তীর্যক ফলায় ভেসে আসে,দুটি চোখের জ্বল জ্বল উচ্ছাস।
অতচ দ্যাখো ----
অদৃশ্য ফালির ওপাড়ে কোন দেহ নেই
তবুও খুঁজে ফিরি অবয়ব, দেহ, মুখ
বরফস্তুপের মাঝে আটকে রাখি নিজেকে,
কোন এক অজানা আতংকে দেশ ভেগে।
তীক্ষ্ম দৃষ্টির ফলায় কাঁপে থর থর চোখ
হৃৎপিণ্ডের মাঝে বাসা বেঁধেছে, কোন এক অজানা অসুখ,
এতকিছুর পরেও মাঝে মধ্যেই প্রকৃতির বুকে ঝির ঝিরে বাতাসে নরম রোদ ছুঁয়ে যায় খানিক।
শাদা চোখ চেয়ে রয় অবাক বিস্ময়ে
আশা সঞ্চারিত হয় টুকরো সময়ে।
আবারও সময়ের ব্যবধানে এক অদৃশ্য ঘামের ঝাঁপটায় সামনেটা ধোঁয়াশা হয়,
স্থিমিত হয়ে আসে আসমান,নিচে ধাবমান জলরাশি।
বৃষ্টিস্নাত কাকদের ভেজার মামুলি দৃশ্য ধ্বংসযজ্ঞের বিভৎসতায় ডানাহীন,
শাদা চোখ ফুঁড়ে বেরুয় নোনতা জল
কম্পিত হাতে.পড়ে যাওয়া শূন্য প্লেটে হাত রাখে পুনরায়
গিন-গিনে দেহে ঝাঁপটার জল গড়ায় ক্লান্তির অবসাদে।
যে আশা দূর্মর দেয়াল ভেঙে, হারিয়ে যায় অন্ধগলিতে,
সে কি ফিরবে,না কি পারবেনা ফিরতে?
ক্রমশঃ আঁধার ভেঙে, এই আলোকচ্ছটায়?