বাতাসে কাঁপে তিল ফুলের নরম পাপড়ি
ষোড়শী কন্যার লিপসটিক জড়ানো ওষ্ঠের মতো।
এত আয়োজন ব্যর্থ করে দিয়ে
গ্রাম্য বধুর ঘোমটার ভেতর অন্ধকারের স্তুপ জমে।
বিস্তৃত মাঠে হয় আগাছার চাষ
জ্যোৎস্নার পালক খসে পড়ে মধ্যরাতে।
জোচ্চোর শিয়াল শুকে দেখে--
টেনে হিচড়ে খাবার আশায়।
ভালোবাসার জট্ পাক খেতে খেতে আঁটকে যায়
আশান্বিত জীবনের ঘোরটোপে।
অচেনা রাত্রির স্মৃতিপট, অন্ধকার করে তোলে
এতো কিছুর পরেও তুমি আসবে বলে
তোমার জন্য ছুটে যাই জীর্ণ পথের ধারে।
আর তখন'ই কাকজ্যোৎস্নায় দাঁড়িয়ে শুনি সেই সব হাহাকার,
আমার পূর্ব পুরুষরা যা শুনেছিল
একটি ভাঙা কুঁড়ে ঘরে আর্তের কান্না।