লগন পুড়িয়ে এসেছে----
চোরাবালিতে ডুবে গেছে সময়,
নষ্ট প্রহর, গলিত লাশের মিছিলে পড়ে রয় অনাদরে।
অস্থির সময়ের বিভৎসতা দগদগে বুকে নিয়ে,
চোখ খোঁজে তার জ্যোতি, ঘোর তমিস্রার অন্ধরাতে।
কিশোরীর বুকে, স্বপ্নচাষ করে রাক্ষুসে লাঙল,
গিনগিনে ক্ষত বুকে নিয়ে,দেশ ভোগে বিষন্ন অসুখে
জীবনের খুড়া খুড়িতে ক্লান্ত দেহে বিষের তীব্রতায় চিৎকার জমে উঠে।
ছিন্নভিন্ন জ্যোৎস্নার আলো ছিঁড়ে, ছায়া ফুঁড়ে দাঁড়ায়
স্তব্দরাতের  অদ্ভুত আঁধারের বিপন্ন প্রান্তরে।
আমি চেয়ে রই আঙুল আঁকড়ে নির্নিমেষ, চোখ মেলে নিঃশব্দ জানালায়,
অপার্থিব জীবনের পদচারণার মাঝে-----
কত ছায়া,সে ছায়া ক্ষণে মূর্ত হয়,
কখনো মানুষ, কখনো জন্তু, কখনো প্রকৃতি, কখনো সমূদ্রস্রোত,কখনো বা চন্দ্রখণ্ডে।
পূঞ্জীভূত দীর্ঘশ্বাসের তলায় পিষ্ট,বহমান স্বপ্ন চন্দ্রালোকিত সময়ে।
তবুও ----
এত পাপ,এত ঘৃণা বুকে নিয়ে কেনো! আশার বেলাভূমিতে চাষ করে চলেছি আজন্ম ভাললাগা?
জীর্ণ জীবনের পচনধরা গলিত লগ্নে?