শরীর বেচুম শরীর
বিনিময়ে ঠাঁই হবে ঠাঁই?
পিশাচের উন্মাতাল বেয়নেটে স্বামী সংসার সব গেছে,
ক্ষুধার্ত কামুকতার লালসা মেটাতে----
সদ্য কিশোরীর গজিয়ে উঠা বুকে হাজারও আঁচড়
তবুও নিঃশ্চুপ মানবতাবাদীরা। যেনো আমাদের রক্তে নিরিহ চাঁদ ডুকে গেছে
উত্তাপহীন মৌন প্রতিবাদ খড়স্রোতা নাফের রক্তিম আভায়।
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্রোতের সাথে  লাশের মিছিল
অথচ এখন শুধুই আঙুলে নখে পিশাচিকতা আর---
পড়ে আছে বুকের নকশি কাঁথায় রক্তমাখা স্মৃতিময় সংসার,
ধু ধু হাহাকারে আবৃত বিরহভূমি।
আজ সম্মিলিত উৎসবে মেতে উঠেছে নরপিশাচের বেয়নেট
বিমূর্ত সব খোলাহল ছেড়ে নিরিহ মানুষগুলো বেছে নিয়েছে,
নাফের প্রিয় স্বপ্নের স্রোতখানি।
আজ বিরামহীন কষ্টের মাঝে উদোম স্বাক্ষী হয়ে কাঁদছে প্রিয় নাফ,
আর কতোদিন আর কতোকাল ---
শরতের উদাসীন আকাশে সাদা মেঘ চেয়ে চেয়ে দেখা?
আর কতো শীতল জলের মিছিলে শামিল হবো
ক্ষতবিক্ষত দেহের নিভৃত অঙ্গার নিয়ে?
এখন এই অমানবিক আবর্তে আমার দু'চোখ বেয়ে অসহায় সময় ঝরে,
অথচ লোকালয়ে লুট হচ্ছে কষ্টবন্দি মানুষের সন্শ্রম মানবিক মুখরতা।
তবুও একটু ঠাঁইয়ের আশায়
শরীর বেচুম শরীর অসহায় নারীর চিৎকার
অচেনা দুয়োরে দাঁড়িয়ে
হোক এপার কিংবা ওপারে।