ভোট দিয়ে বানাইছিলাম চেয়্যারম্যান তারে
একবারও সে নিলো না হাড়ির খবর
জানলো না গরীবের পেটে কত ক্ষুধা,
ইট ক্ষয়ে আজ রাস্তা ইরির ক্ষেত-
জনগণ যদি বলে সেই সব কথা
হুংকার দিয়ে বলেন তিনি
              ‘যতবড় মুখ না ততবড় কথা’।


কত স্বপ্নই তো দেখাইছিলেন ভোটের আগে
খালের উপরে হইবো সাঁকো, সস্তায় মোটা চাল
দিন বদলের হাওয়ায় থাকবে না ছেঁড়া কাঁথা,
থাকবে না দুখি মান্ষের ব্যথা-
মনে করে দিতেই চিৎকার চেঁচামেচি,
                ‘যতবড় মুখ না ততবড় কথা’।


কত কিছুই তো দিবেন কইছিলেন ভোটের আগে
ঘরে ঘরে কারেন্, বিনামূল্যে লেহাপড়া
যত্ত বুড়াবুড়ি আছে দিবেন বয়স্ক ভাতা
পোলাপাইনরে দিবেন ফ্রি কলম-খাতা
আজ মনে করে দিতেই গা জলে আপনার
গালি দিয়া শুধু কন, ‘যতবড় মুখ না ততবড় কথা’।


      ‘‘সমস্যা নাই, আবার আইতাছে সেই দিন ফিরে
      আইতে অইবো ফির্ মানুষের দ্বারে দ্বারে
      হাত ধইরা আবার কওন লাগবো, ‘চাচা মনে রাইহেন-মার্কা কিন্তু ছাতা’
      জনগণও বইসা আছে কওনের লাগি-যতবড় মুখ না ততবড় কথা।’’


০৫/৮/২০২৬