(উৎসর্গঃ- একজন অতিরঞ্জন’কে)


কবিরা ঘুমায় না-জেগে থাকে কবিতার চোখে
জেগে থাকে প্রশান্ত পেঁচার দৃষ্টিতে কবির কলমের রাইফেল
জেগে থাকে পথভ্রষ্ট উদ্বাস্তু সমাজের অগণিত শব্দের কারিগর-সারারাত,
জেগে থাকে অব্যক্ত আবেগের ছোঁয়া, কিছু প্রতিবাদ-প্রেমের পদ্য....;
রাত্রির আতশি আয়নায় অন্ধকার খুঁজে খুঁজে
              কবিরাই জাগ্রত করে বিবেকের ভ্রুণ, কুড়ে এনে সাজায় কিছু পরশ গাঁথুনি।


গভীর রাতে ঘড়ির কাঁটা যখন দুটো ছুঁই ছুঁই
                           কিংবা ভোর চারটা বারো
তখনো জেগে থাকে কোন কোন কবি
                  জেগে থাকে বাকহীন শব্দের শিল্পীরা
                                জেগে থাকে কবিতার পিতা....!


মানচিত্রের মসৃণ বিছানায় যখন পতাকারা ঘুমায় অঘোরে
খুনিদের হাতের স্পর্শে আর মেকি পুষ্পার্ঘে যখন বিচলিত হয় শহীদের মিনার
তখন কবিরাই তাকে শোনায় শান্তনার কবিতা,
তখন কবিরাই তার শিয়রের পাশে জ্বালিয়ে রাখে চির মুক্তির প্রদীপ-কবিতা...


কবিরা ছাড়া আর কেউ কী আছে অত্যাচারী ঈশ্বরকে হুলিয়া পাঠাবে?
আর কেউ কী আছে শোষিতের রক্ত শিরায় জ্বালিয়ে দিবে বারুদের উত্তাপ?



(তাই বুঝি কবিদের ঘুমাতে নেই, (কবিদের অভিমানি হতে নেই....................)


০২/৮/২০১৬