একদিন মাঝরাতে এসেছিল নিশি ভূত
জানালার গ্রিল ধরে পেতে ছিল একা ওঁত,
ঘুম থেকে জেগে দেখি কাঁপছে ঘরটা
ই....য়া বড় লম্বা লিকলিকে ধরটা;
কঙ্কাল দেহ তার হাড়গুলো গোনা যায়
তাকে দেখে মনে হয় খুব বেশি অসহায়।


ভয় পেয়ে চোখ দুটো করলাম বন্ধ
নাকে এসে লাগলো নিম পাতা গন্ধ,
নিশি ভূত বললো কাঁদো-কাঁদো কন্ঠে
ঘরে আছে এক মেয়ে তার নাম মন্টে;
দুই দিন গত হলো কোনকিছু খায়নি
করোনার কারণে বাজারেও যায়নি।


বললাম নিচুস্বরে, আছে কিছু মাছ ভাজি
হও যদি বন্ধু- দিতে আছি আমি রাজি;
রাজি হয়ে নিশিভূত চলে গেল নিয়ে মাছ
ছুটে গেল জঙ্গলে তাকালো না আর পাছ।


সেই থেকে নিশি ভূত আসে রোজ রাতে
মন্টেও পিছু পিছু আসে তার সাথে,
নিজ হাতে প্রতিদিন রাঁধে ডাল খিচুড়ি
সাথে রাঁধে শোলমাছ নেই তার জুড়ি।


সারারাত খেলা করে, করে ছোটাছুটি
মন্টের সাথে আমি করি খুনসুটি,
সোনা মেয়ে মন্টে ইস্কুলে পড়ে
বাড়িতেও সব কাজ নিজ হাতে করে।


ভূত জাতি নয়তো একেবারে মন্দ
গায়ে শুধু একটু নিম পাতা গন্ধ।