( মানুষেরা গাছেদের কথা ভাবে,গাছেদের কি ভাবার
ক্ষমতা আছে? তারা কি ভাবে-আর প্রাচীন বট কি সত্য
জানে? এইসবের ভাবব্যঞ্জনায়...............)


একটা গাছ বন্ধু গাছকে শুধালো,
আমাদের সাথে কাদের মিল বা অমিল আর কি ভাবে?
বন্ধু গাছ উত্তরে জানালো--
যেমন আমরা দাঁড়িয়ে থাকি সারিবদ্ধ পাশাপাশি
তেমনি মানুষেরাও শ্রেণীবদ্ধ সমাজনিবাসী।
ছোটো খাটো কীটপতঙ্গ,পশুপাখি
অবাধে ঘোরে আমাদের দেহে
স্নেহে,
যেমন মানুষেরা একে অন্যকে জড়িয়ে থাকে
মোহে।
আমরা বিলিয়ে দিই ফুল-ফল, পাতা
এমনকি ছালবাকল,
আর ছায়া সুশীতল।
শেষমেষ টুকরো টুকরো শরীর
আহুতি দিই দহনে,
মুক্তিধামে।
ঠিক সেইরকম একটা মানুষ
ভেঙেচুরে সবকিছু বিলিয়ে দেয়
অন্য মানুষের সুখের কারণে।
এত মিল থাকতেও একটা বড় অমিল
আমরা স্থির আর মানুষেরা অস্থির।
আমরা নির্বাক মৌন আবেদনে
মানুষ সবাক, সতত ব্যস্ত সত্য অনুসন্ধানে।
এইসব শুনে এক অতি প্রাচীন বট
বলে জলদগম্ভীর স্বরে,
মানুষেরা গাছেদের কথা ভাবে-- গাছেদের কথা লেখে
নিজেদের কথা ভুলে যায়।
শাশ্বত সত্যটা আমি জানি
প্রয়োজন হলে,
ঈশ্বরই মানুষ আর মানুষই ঈশ্বর বনে যায়।।