( ২০১২ তে যা হবার আশঙ্কা ছিলো তারই ভবিষ্যত ব্যঞ্জনায়....)
  
  
স্ত্রী সাইবর্গ চেচিয়ে বললো
ফ্লিপকার্ট থেকে দুটো কিডনি অর্ডার কর
         অভিভাবকদের জন্যে,
আর একটা ট্রান্সপ্লান্ট কিট্
      পুরনো টা বিগড়ে গেছে।
দু চারটে লিভারও মাঙিয়ে নাও
আজকাল পাচনপ্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে গেছে।
ডিজিটাল ঘরের কোনায়
ঠাকুরের আসনের সামনে বসে
মানুষী ভাবছিলো--
এরা যে অবিকল মানুষের ভঙ্গিমায় কথা বলে;
হঠাৎ এক অতিথি-সাইবর্গ এলো
মানুষীকে দেখে শুধালো,
এটা কোন শ্রেণীর যন্ত্র?
আর পাথরের মুর্তির সামনে বসেই বা কি করছে?
সাইবর্গ গৃহকর্তা উত্তর দিলো--
কাজের লোক, নতুন সংগ্রহ
তৃতীয় বিশ্বে মেলে,নিজেকে মানুষ
আর অভিভাবকদের মাতা-পিতা বলে।
পুজো-আচ্চা নামক প্রক্রিয়ায় মেতে থাকে সদলে।
মূর্তিগুলো নাকি ওদের ভাগ্যবিধাতা
ওরা বড় অসহায় বেঁচে থাকে মূর্তির কৃপায়।
আমাদের মত স্বয়ংক্রিয় নয়;
আমরা স্বাধীন যদিও একটু উদাসীন
কুসংস্কার মুক্ত শুধু নিজ ইচ্ছার অধীন।
মানুষী ভাবছিলো--সেই দিন আসছে
ডাইনোসররা বাঁচে নি
এই পুচকে যন্ত্রগুলো নিজেদের কি ভাবছে?
' রক্ষা করো প্রভু ' বলে মানুষী আনত হলো
ঠাকুরের পায়ের ধুলো আঁচলে বেঁধে নিলো।
সেই মুহূর্তে পৃথিবীব্যাপী বিস্ফোরণ ঘটলো
২০১২ তে যা হবার ছিলো-- তা আজ হলো।


দুখেঃর বিষয় এই যে আমরা কেউই ছিলাম না
মৃতেরা এই খবর পড়ছিলো...





সূত্র-সাইবর্গ--ভার্চুয়াল তথা যন্ত্রমানব





বিশেষ-পুনর্গঠ্ন