(উপোরক্ত কবিতা হিন্দি কবিতার আসরের কবি নীরজ
ব্যাসের----চেষ্টাকৃত অনুবাদ নিজভাষে......
প্রসঙ্গক্রমে পাঠকদের জানাই খাদ্যসঙ্কটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অগ্রজ কবি রফিক আজাদের কবিতার শেষ পংক্তি যা অনুদিত হয়ে শোভা পেয়েছে ব্রাজিলের দেওয়ালে দেওয়ালে-
" ভাত দে হারামজাদা,তা না হলে মানচিত্র খাবো" )


মঞ্চে উঠেই জাদুকর নানারকম ভেলকি দেখালো
শেষমেষ একটা আস্ত তরোয়াল গিলে খেলো
দর্শকগণ সচকিত হয়ে উঠলো।
চোখে একটা কালোকাপড় বেঁধে
মোটরসাইকেলে সারা শহর পরিক্রমা করে
শহীদবেদীতলে এসে দাঁড়ালো
চিল্লিয়ে বললো--আছে কোনো বাপের ব্যাটা
আমার মত দক্ষ জাদুকর।
এইসব জেনে সাঙ্গোপাঙ্গ সাথে নিয়ে দেশনেতা
লালবাতি জ্বালানো লম্বা গাড়ীতে এসে
জাদুকরের মুখোমুখি দাঁড়ালো--বললো
একটা তরোয়াল খেয়েই এত বকছিস্
আমাদের মত পুরো দেশটা খেয়ে দ্যাখা।
আর কি পারিস বল?
জাদুকর বলে -- জানি কালোজাদু
এক্ষুনি ভরে দিতে পারি এই শহীদ ময়দান
ডেকে এনে ভূত-প্রেত, ডাকিনী- যোগিনীর দল।
নেতা বললো হেসে--এ আর এমনকি
আজ রবিবার সংসদ বন্ধ
নাহলে দেখাতাম শ্বেতশুভ্র পোষাক পরিহিত
অর্ধসহস্র নিন্মকোটির পিশাচ-পিশাচিনীবল।
শোন আমরা বানিয়েছি এক নতুন কল ভোট-আকুল
তাতে মানুষেরা নয় ভোট দেয় শুধু আঙুল।
       জিত আমাদের হাতের মুঠোয়।
কাচুমাচু হয়ে বলে জাদুকর
        থাক না ভাই
        আয় হাত মিলাই
জাদুবলে আবিষ্ট করি জনমানস
যেন মনে হয়
শুন্য ভাতের থালা ব্যঞ্জনময়
নগ্ন শরীর ঢাকা মহার্ঘ পোষাকে
মাথা ঢেকে দিই কাল্পনিক রঙীন ছাতায়
সিংহাসনের নীচে দাড়ানো জনগনকে বলি সমস্বরে
' বন্ধুগন, দেখ পূরণ করেছি তোমাদের প্রাথমিক দাবী
রুটি, কাপড় আর মকান
এ জেন সফল গনতন্ত্রের দান '
জোরে জোরে বলো " আমার দেশ মহান"