১০০তম কবিতা(সত্যি আর নিজস্ব কবিতা)
(পূর্বাভাস--ছেলে থাকে প্রবাসে,মাঝেমধ্যে চিঠিপত্তর আসে-মা চোখের জলে ভাসে।দীর্ঘদিনের অদেখায় মার মন উচাটন-তবুও বলে ছেলে কাঁদালেও সে হাসবে আমরণ।ছেলের দুঃখবোধ হয়--মার প্রশংসায় পঞ্চমুখ---বলে
মার মত কেউ কি হয়?)
১২/৭/১৩'তে প্রকাশিত
মা আর তাঁর অশ্রুজল কবিতার শেষ স্তবক---
ও খো---ক----ন
ছেলেকে ডাকছে
ঠোঁটে যেন সঙ্গীত বাঁজছে।
ও ঠাকুর.........
ছেলের মঙ্গল প্রার্থণা,
চোখে একরাশ করুনা
হাতে বরাভয়
মার মত কেউ কি হয়?
পরবর্তী অংশে মা বলছেন--(১)
এতই যদি মাকে ভালোবাসিস
তবে ঘরে কেন এতদিন বাদেবাদে আসিস্ ।
ছোটোবেলায় তুই থাকতি আঁচল ঢাকা,
আজ সে আঁচল ফাঁকা--
জানিস্ খোকন আজকাল আমি বড্ড একা
ভাবি ছেলেমেয়েরা কেন যে বড়ো হয়ে যায়।
(২)
রাগ কোরো না মা--
আমি কি আর সে খোকন আছি?
সরলতা ফেলে এসেছি কৈশোরে
এখন এক জটিল প্রায় ধাতব মানুষ
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছি সংসারে।
অনেকদিন আসিনি বটে
তবে সত্যি বলছি
তোমার কথা সবসময় মনে পড়ে।
(৩)
যাক বাবা! ভালো থাকিস্
সময় পেলে একবারটি আসিস্ ।
ছেলেমেয়েদেরও কিন্তু সাথে আনিস্
কে জানে কবে রওনা হয়ে যাই।
(৪)
জানো মা গুরুদেব বলেছেন-
যা সরে সরে যায় -তারই নাম সংসার।
এখানে সবাই ভীষন একা,
তুমি তো আরও বেশী জানো
তুমিই বলো-- এখানে কার কে?
আর কেই বা কার?
প্রণাম নিও
ইতি
অশ্রুজল তোমার.........