(৪৫ বছর পরে অন্তিম সৎকার হয় এক শহিদের, শব উদ্ধার হয় কয়েকদিন আগে।টেলিভিশনে
এর প্রদর্শন অনুষ্ঠান দেখানো হয়।
যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুপথযাত্রী শহিদ কি বলে
এই ভাব ব্যঞ্জনায় হিন্দি কবিতার আসরে কবি মহেন্দ্র চৌহানের কবিতার চেষ্টাকৃত অনুবাদ নিজভাষে...)


যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুপথযাত্রী আহত সৈনিক বলছে.......


(মা'কে)
এইমাত্র বুকে গুলি লেগেছে
রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারিদিক,
কি মনে হচ্ছে জানিস মা-
যেন স্নান করছি যেমন সদ্যজাত করে জন্মদিনে।
দেখিস লোকেরা বলবে-
কি বীরবিক্রমে লড়েছে এই জওয়ান
নিশ্চয় সিংহিনী'র বাচ্চা।
আসলে সত্যি সাহস দিয়েছে তোরই গর্ভস্মৃতি।
কথা দিলাম মা --আবার জন্ম নেবো তোরই গর্ভাঙ্গনে।
(বাবাকে)
ছোটোবেলায় আমাকে কাধে চড়িয়েছো
ভেবেছিলে শেষযাত্রায় আমার কাঁধে যাবে।
হলো না বাবা--
পরজন্মে যদি জন্ম পাই তোমারই বিন্দুদানে
শোধবোধ করে দেবো সেইক্ষনে।
(ভাইকে)
আমি বড়, বাবা'র ডানহাত
তুই ছোটো বা'হাত,
খেয়াল রাখিস পরিবারের হয়ে দুহাত।
(গর্ভবতী স্ত্রীকে)
চোখে কেন জল?
শহিদের স্ত্রী বলে পরিচিতি পাবে
উচুতে মুখ তোল
গর্ভের সন্তানকে আশ্বাসমন্ত্র দানে বিদ্ধ করো,
দেওয়ালে টাঙানো ফটো দেখিয়ে বলো
দেখ তোর বাবা হাসছে স্বমহিমায়।
(শাসনকর্তাকে)
জানি আপনারা পাঠাবেন
কফিনে শব আর সাথে প্রশংসার গুচ্ছফুল
আপনাদের ভাবনায় আমরা মাটি তথা ধূল।
(সেনা অধিকারীকে)
আমার ছেড়ে যাওয়া আত্মা খুব খুশী হবে
যখন একুশটা গানস্যালুট্ গর্জাবে।
(দেশবাসীকে)
চিরনিদ্রায় ঘুমাতে যাচ্ছি
তবে ভেবো না ঘুমিয়েই থাকবো
আবার জন্মাবো আর দরকার হলে
দেশের জন্যে আরও একবার প্রাণবলি দেবো।
জেনো শহিদেরা কক্ষনো মরে না
বেচে থাকে অনন্তকাল
কফিনে কিম্বা চিতায় শুয়ে
দেশকে জানায় সম্পুর্ণ প্রণাম।।