( চতুর্থ স্তবক একদম সত্যি এই অভিনব খবর সংবাদপত্রেও বেরিয়েছিলো )


কবিতা খুঁজতে বেরিয়েছি--
প্রথমেই সবুজ কবিতার জন্যে
                            গ্রামে।
ইস্!শ্যামলিমার সাথে কবিতারা
ভেসে গেছে বন্যায়,
মানুষজন পালিয়ে বেঁচেছে প্রাণে।


বহতা কবিতার জন্যে নদীতে
ঢেউগুলো কেমন যেন বেয়াড়া মনে হয়,
নর্দমার নোংরা আর কলকারখানার
রাসায়নিকে বিষময়।
মুখভার করে আমাকে ফিরিয়ে দেয়।


প্রতিবাদের কবিতার জন্যে
                         শহরে।
ইট-কাঠ-কংক্রিটের খোয়াড়ে
কোথাও কবিতা নেই,
হ্যা এক আধটা ফিচকে কবিতা
মিচকি হেসে পালিয়ে বেড়ায়
এ ফ্ল্যাট থেকে ও ফ্ল্যাটের কার্নিস্ ধরে।


শেষমেষ বিষাদ কবিতার জন্যে
                             শ্মশানে।
ও হরি! কিছু ছেলেছোকরা বন্ধুর জন্মদিন
               মানাচ্ছে মুক্তিধামে।
প্রশ্ন করতেই বললো--' মানুষ মৃত্যুকে ভয় পায় '
এই ভুল ভাঙাতেই আমরা এসেছি উদযাপনে।


হতাশ হয়ে ফিরি, বাউন্ডুলে মানুষ
থাকি অপেক্ষায়,
ভুল করে যদি কবিতা এসে যায়
গরীবের উঠোনে।


সাদাপাতা অনূঢ়া থেকে যায়।
চোখের জলের মত,
বিষাদের কালি ভরে আছে
জন্মদিনে বাবার উপহার দেওয়া
শের্ফাস কলমে।