স্তুপাকার ফুলের বোঝা সরিয়ে
স্তুপাকার কাঠের উপরে বিছানো
ভাঙাচোরা থুড়ি পোষ্টমর্টেম করা লাশ।
দুটি বিলীন বাহু , আলুলায়িত স্তন
                                ধ্বস্ত শরীর,
কীটদংশনের দাগের উপর চন্দনচর্চিত হয়ে
                                দহনে প্রস্তুত।
সম্ভোগ এক স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া
কিন্তু ধর্ষণ কর্কট রোগের মত ভয়ঙ্কর
                          দিকে দিকে ছড়ায়।
আজ কামদুনি কাল দিল্লি পরশু মধ্যমগ্রাম
গনধিক্কার, মৃত্যুশাস্তি কিছুই সফল নয়।
অলক্ষ্যে কেউ শোনায়
কবিরা দুচারটে জ্বলন্ত শব্দের কবিতা লিখে
                                    ভুলে যায়।
খায়দায় সংসারের হাত ধরে ঘুরে বেড়ায়।
কবি হিসাবে যথেষ্ট কিন্তু ভাবে কি
মানুষ হিসাবে আর কি করা যায়?
এদিকে অজান্তে
মৃতা প্রেতশরীরগুলো  মানুষের অবয়ব পাচ্ছে
আর সমস্বরে আর্তনাদ করছে,
মুন্ডমালা গলে ত্রিনয়ণার রোষানলে
চিতার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে
ফুলকিগুলো পাপীদের জ্বালিয়ে দিতে চাইছে......