( মেয়ে জন্ম এক বোঝা তথা দায় এই ভাবনায় ঘৃনিত অপরাধ ভ্রণ হত্যা বেড়ে যায়............
তারই প্রতিবাদে মেয়ের শুভজন্মদিনে এক পিতার ইচ্ছা'র ব্যঞ্জনায়..................)
আসন্নপ্রসবা স্ত্রী ফৌজী হাসপাতালে অপেক্ষায়।
সেই শুভদিন এলো-- প্রথম সন্তান
এক শ্যামলীকন্যা জন্ম নিলো।
মিথ্যে বলবো না--স্ত্রীকে বললাম
ন' মাস কাজু কিসমিস খাইয়ে,
শেষমেষ এই! ওর চোখ ভিঁজে গেল।
শাশুড়িমাতা সাথ দিলো এই বলে,
দুঃখ পাস না এই কথায়
সত্যি তো একটা দায় বেড়ে গেল।
বাপ মরা মেয়ে মানুষ করতে গিয়ে
আমি বুঝেছি পলে পলে,
পৃথিবীতে কতটা অন্ধকার
আর কতটাই বা আলো।
ক্ষমতা থাক বা নাই থাক
তবুও মেয়েকে পরাই
দামী জুতো দামী জামা।
আধো আধো বুলিতে পাপা পাপা বলে
ঘরে আঙিনায় ঘুরে বেড়ায়
চাঁদের কনা।
সাদামাটা মানুষ আমি, ভরে যায় মন,
হে ঈশ্বর! দেখ আমার সৃষ্টি কি অনুপম।
ধীরে ধীরে মেয়ে বড় হয়
মেধায় অনেককে ছাড়িয়ে যায়।
আজ ডাক্তারের পিতা হয়ে আমি,
সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে যাই
মেয়ের মহিমায়।
সংসারের খুঁটিনাটি, মাতাপিতার স্বাস্থ্য
খেয়াল রাখে সচেতনতায়।
জানি একদিন নিয়মানুযায়ী
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে,
অন্যের হাত ধরে চলে যাবে
অন্য ঠিকানায়।
নিজে ছেলে হয়ে বুঝি
ছেলে জন্ম জরুরী বটে,
কিন্তু হে ঈশ্বর! নতমস্তক হই আকুল প্রার্থণায়
প্রতিটি পরিবারে যেন একটা মেয়ে জন্ম নেয়।