(বারান্দা)
রাস্তার মুখোমুখি!বসে আছি দেখছি-
অনেক পুরোনো আকাশ
                         নামচেনা নীলিমা।
মেঘ ঠিক আগের মতন--স্বপ্নের ভবন।
বুঝতে পারছি না শুধু হাওয়াকে
থম মেরে আছে।
চেয়ারের হাতল চেপে ধরে
                         ঝুকে পড়ে দেখি,
বহুতল বাড়ির নীচে রাস্তা দিয়ে
             অগুন্তি জীবন হেঁটে যায়।
আমার শুধু হাওয়াকে ভয়
কে জানে কখন বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
বারান্দা হাসে-- আমার পতন সম্ভাবনায়।
                                      (দোলনা)
দুলছি আর ভাবছি কবিতা
আচ্ছা দুলে দুলে কি কবিতা লেখা যায়?
দোলার কথায় মনে পড়লো,
ঝুলন পূর্ণিমার কথা
              রাধাকৃষ্ণ দুলছেন ঝুলায়।
কৃষ্ণ হওয়া তো সম্ভব নয়
তবু রাধা রাধা করে মন কেন দুলে যায়?
দোলনা কিছু চায় না
                 শুধু দুলিয়েই আনন্দ দেয়।
                                    (বিছানা)
টানটান চাদর
মসৃন বাহুডোর।
কিভাবে যে রাত কেটে যায়
শিয়রে দাঁড়িয়ে কাকভোর।
রাত গভীর হলে
বিছানা ইশারায় ডেকে নেয়
চুপি চুপি বলে,
এসো-- মেতে ওঠো
        চিরন্তন সৃষ্টির খেলায়.......
                                     (আয়না)
ছুঁয়ে জানি মসৃনতা
বুঝে যাই আয়না।
আমার অভিব্যক্তিহীন মুখ দেখে
আমি যে কে,
                 বুঝে নেয় আয়না।
স্থবির তাই সরে যেতে পারে না
কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেয়,
আয়না অন্ধকে একদম চায় না।