ফাগুনের সকাল--বসে বসে ভাবছি কবিতার বিষয়বস্তু!
যাই যাই করেও শীত রয়ে গেছে
শীতকাতুরে দের বিরক্তি সয়ে,
যেমন বড়লোকদের বাড়িতে গরীব আত্মীয়রা
বাড়তি দু-চার দিন থেকে যায় অবহেলায়।
কিছু ভালোমন্দ খাওয়াদাওয়া
      কিছু সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়ার আশায়।
হঠাৎ মুঠোফোন আমাকে ডাকলো,
কানে চেপে ধরতেই ক্রেডিট কার্ডের মক্ষিরানী
আমার আউটস্ট্যান্ডিং ব্যালান্স জানালো।
মাথায় এসে গেলো কবিতার বিষয়--
নো মোর ' অভিজ্ঞান শকুন্তলম '
                 নো মোর ' দেবদূত'
বরং অভিনব ভাবনায় ভরা অদ্ভুত।
যেমন লিখেছিলেন অগ্রজ কবি সেইসময়,
'আলেকজান্ডার বিক্রী করে দাঁতের মাজন ট্রেনের কামরায় কামরায়'।
কি বললেন পাঠকগন পড়েননি?
কি করে পড়বেন!
চব্বিশ ঘন্টা তো লেপটে আছেন ফেসবুকের সাথে
ভার্চুয়াল আর রিয়েল আইডেন্টিটির দ্বন্দ নিয়ে।
আমরা শৌখীন কবি নিজে যেচেই পরিচয় দিই
আমাদের বিশেষ কোনো ঐতিহ্য কিম্বা গরিমা নেই,
লেখার টেবিল শেফার্স কলম রঙীন কাগজ কিছুই নেই।
কাজের ফাকফোকরে ছেড়া কাগজের টুকরোয়
                                    দু-চার কথা লিখে যাই।
প্রফেশনাল আর প্রতিষ্ঠিত কবিরা মুখ বেকান বটে
কিন্তু মনে মনে স্বীকার করেন--
আমাদের কবিতা নয় পন্যের মোড়কে মোড়া
                                    বরং মনকাড়া,
ভরে রাখে কবিতার ত্রিভূবন।
সত্যি মাইরী!তিন দিব্যি দিয়ে বলছি,
শত কাজ অকাজের ভিড়ে
কবিতাই আমাদের প্রিয়জন!