গাছের তলায় বসে লিখছি--
সামনে এসে দাঁড়ালো আলখাল্লা পরা এক দীর্ঘদেহী!
যিনি ব্যতিক্রম থেকে ব্যতিক্রমে এগিয়ে চলার,
শোককে শক্তিতে উত্তীর্ণ করার সুরটিকে
            কোটি জীবনের তারে বাঁধার সুরকার।
অনলস হয়ে চলতে চলতে তিনি শেখান
           লেখা মানে তপশ্চর্যা!
তাঁর সেই বিশ্বাস আমার নিঃশ্বাসে ছড়িয়ে পড়লো,
আর আমার লেখাগুলো শ্লোকের মত উত্তীর্ণ হলো
সাহিত্যের পাতায়.......................................।


সামনে হারমোনিয়ান--
                     মনে মনে তাঁর শুচিশুভ্র মুখাবয়ব!
কে জানে গানই তাকে ধরে রাখে
                   নাকি তিনি গানকে ধরে রাখেন---
গীতবিতান আর স্বরবিতান মিলেমিশে
             গোটা জীবনটাই একটা গান হয়ে যায়।
তাঁরই প্রেরণায় আমি মূর্ছণা শিখলাম।


শেষমেষ না কবি না গায়ক
আমি একজন দশটা-পাচঁটার লেখক হয়েই বেচে রইলাম।


অবসর সময়ে বসে বসে ভাবি,
হে প্রভূ! আর একটা জন্ম দিও--
ব্যতিক্রমী মানুষজনদের একজন হয়ে খেল দেখাবো!