( ০৯/১০/১৩ তে প্রকাশিত ২০৭৫ সালের কবিতার ধারাবাহিকতায়...)
রক্ত বদল করতে পুরো সাতাশ সেকেন্ড সময় লাগলো
অর্জুন রি-টোনড হয়ে গেলো।
যুধিষ্ঠির অন্য একটা ঘরে ভাইব্রেশন কোড দিয়ে
স্নায়ুতন্ত্র রিচার্জ করছিলো।
ভীম এর এইসব বালাই নেই
এক বছরের ফ্রী পে-ব্যাক মেনটেনান্সের দয়াধন্য হয়ে
  নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলো।
নকুল সহদেব নিউট্রাল জোনে
মিউচুয়াল ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়ায় মগ্ন ছিল।
মহামহিম শ্রীকৃষ্ণের নিমিলিত চোখের তারা আর ময়ুর পালক
     ফ্রিকোয়েন্সি আপ-ডাউন করছিল।
দূরে দাঁঁড়িয়ে এইসব দেখছিলাম
জিজ্ঞাসা করলাম--তোমরা কারা?
উত্তর এলো 'তোমাদের ভবিষ্যত'!
আরো জানালো ওদের বিশেষত্ব---
আমরা রাসায়নিক রক্তবাহক
        জৈব-অজৈব বস্তুতে সমৃদ্ধ।
হৃদয় আছে শুধু রক্ত সঞ্চালনের জন্য।
আমাদের কোনো অনুভুতি নেই
পৌরানিক নামগুলো কেবল ঐতিহ্যের স্মৃতিধারক!
আমরা আবেগ বর্জিত!
আমরা শুধু দুটো কমান্ড জানি--
'হা কিম্বা না'!


শেষ প্রজন্মের মানুষ আমি
ভাঙা হৃদয় নিয়ে হাটঁছিলাম আর ভাবছিলাম
সত্যিকারের রক্তমান্সের মানুষগুলো আজ কোথায় গেল?