অনেকক্ষন ধরে বিগ্রহের সামনে
চোখ বুজে দাঁড়িয়ে রইলাম।
বিড়বিড় করে সবকিছু পজিটিভ চাইলাম
নেগেটিভ সবকিছু না করে দিলাম।
চাওয়া শেষ করে আড়চোখে অন্যদের দেখলাম,
শুধু একজন এককোনে নিশ্চল বসে আছে অভিব্যক্তিহীন!
দুহাত জোড়করা অঞ্জলির ভঙ্গিমায়--
চোখ বোজা ঠোঁট আবদ্ধ--দেহ মৃতবৎ  স্থির!
হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে মন্দির চত্বরে পা রাখলো,
রাস্তা রুকে শুধোলাম--মনে হলো কিছু চাইলেন না--কেন?
হাসিমুখে উত্তর এলো--
মা-বাপের কাছে কেউ কি চায় --আবদার করে
             অপরিনত তথা ছোটরা উচ্চারণ করে
                           পরিনতরা বিড়বিড় করে।
আমি একটু একগুয়ে--আমার কি দরকার, কি কাম্য
সবই তো তিনি জানেন--চাইবো কেন? দিলে দেবেন,
না দিলে কিই বা করার আছে? চুপ করে মেনে নেবো!
ভাবলাম ঐ লোকটার সাথে আমার পার্থক্য কি?
মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে ধ্বনিত হলো--উভয়েই সন্তান,
কিন্তু একজন বিষয়ী আর এক জন বাউন্ডুলে
মূহুর্তে নিজেকে চিনে নিলাম...............................