"তুমি যাবে ভাই যাবে আমার সাথে"
আসবে না আর অমন ডাক
থাকবে না আর হাত বাড়িয়ে  
অপেক্ষাতে কেউ দাঁড়িয়ে ।


মন তবু চেয়ে থাকে, থাকে অপেক্ষায়
চায় যেতে হারিয়ে ভর করে হাওয়ায়
নগরের ভিড় ছেড়ে কোন এক অজানায়।


মেঘেদের দেশে তারাদের বনে,
বাতাসের সাথে করে লুটোপুটি
সবুজের বাঁশ ঝাড়।  
দেখে মনে হয় মাটি থেকে উড়ে
আকাশের সাথে করছে খুনসুঁটি।

ঝিরিঝিরি পাতার ফাঁকে আমলকীরা
উঁকি মেরে যায় থোকায় থোকায়,
মন উড়ে হারাবে পাহাড়ের গায়।
নিমের বাতাসে জুড়োবে প্রাণ
ডালে ডালে শোনা যায় পাখীদের গান।
নৈঃসর্গিক নিস্তব্ধতায় "মুখতারান"
মুক্তির পথ শুধু ধ্যান আর ধ্যান।


মাথা নুয়ে দাঁড়িয়ে গুটি ফলে ভরা
পারবে না যেতে কেউ না দিয়ে ধরা।
ইট বাঁধানো পথের দু ধারে
অর্কিডের দল সেজেছে থরে থরে।
দেখে সে বাহার বিমুগ্ধতায়,
নিজের কাছেই নিজেকে হারায়।


আরোগ্যশালায় নিরাময়ের খেলা
চারপাশে দেখা যায় পাহাড়ের মেলা।
চারপাশ সুনসান নেই কোন শব্দ
ঝর্ণার জল দেখে হবে শুধু স্তব্ধ।
পাহাড়ী পথ ধরে বয়ে চলে সে জল
ধ্যান ঘরে বসে দেখবি তো চল।


ডাহুকীর ডাকে উদাস করা দুপুর
বাঁশ বনে মনে হয় বেজে ওঠে নূপূর।
নেই কোন শব্দ, কোন কোলাহল্
আত্ম-নিমগ্নতায় সব চলাচল।


আঁধার ভেদ করে উঁকি মারে প্রভাত
দিন শুরু স্রষ্টাকে দিয়ে ধন্যবাদ
পাহাড়ের ওপাশ থেকে ভেসে আসে সুর
"সুস্থ্য দেহ প্রশান্ত মন
কর্মব্যস্ত সুখী জীবন"।


সুরের তালে ছুটে চলে কচি-কাঁচার দল
প্যারেডের সাথে বেজে ওঠে বিউগল।
জরা ব্যাধি, নেতি কথা আর ভ্রান্তির বৃত্ত
ভেংগে দিয়ে জেগে ওঠে নতুন এক চিত্ত।


জুড়াবে নয়ন ভাল লাগার আবেশে
দাঁড়াবে যখন তুমি দরবারানের পাশে,
কোন এক অবসরে দল বেঁধে এসে
মন প্রাণ জুড়িয়ে যাও-
সবুজে ঢাকা পাহাড়ের সে দেশে।