তোমা থেকে অনেক দূরে আমি
ভেসে বেড়াই অন্য কোনো সীমান্তে।
আর তুমি থাকো চেয়ে, কখনও বা আনমনে,
চাইলেও পারো না আমায় একটু ছুঁয়ে দিতে।


কখনও আমি নিয়ে আসি তোমার জন্য,
হাসি আবার কখনও বা কান্না।
গ্রীষ্মের দাবদাহে আমায় দেখে উৎফুল্ল হও তুমি,
কখনও বা তোমার ললাটে ভাঁজ পড়তে দেখি আমি।


কখনও যদি দেখি কোনো এক কিশোরী দুঃখ ভারাক্রান্ত,
বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে তাকে আমি হই ক্লান্ত।
আবার নতুন করে জন্ম আমার নতুন কারো খোঁজে,
অনেকে আমায় দেখে ভাবে ঐ বুঝি কাল-বৈশাখী আসে।


কখনও আমার জন্য তুমি তৃষ্ণার্ত হও,
কখনও বা আমায় দেখে অভিসম্পাত দাও।
ছোট ছোট কোমলমতীরা আমায় দেখে,
সমস্বরে ডেকে উঠে "আয় বৃষ্টি ঝেপে"
আবার কখনও কোনো এক মা-কে শুনি,
"কালকে আসিস আজকে না" বলতে।


আষাঢ়ে হয়তো তোমাদের প্লাবিত করে যাই
শূন্য করে দেই হয়তো কোনো কৃষকের ঘর।
কিন্তু এই আমিই আবার ধরণীর বুকে প্রাণ সঞ্চারী,
যখন মাঠ ঘাট হয় ফাঁটা চৌচির এক বিষাদী।


কারও জন্য দুঃখ আনলেও কেউ তো পায় সুখ,
আমার পাওয়া আর কিছু নয় ছাড়া এতটুক।
এভাবেই চলে যাবে আজীবন আমার,
আকাশের এক সীমানা থেকে অন্য সীমানায়।