সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়ে অাসছে
চারিদিকে অন্ধকারের সূত্রপাত,
গৌধূলী রং অনেক অাগেই বিলিন হয়ে গেছে
রাতের প্রভাব পড়বে খানিক বাদে।
অাজ অামি এই অন্ধকার রাত্রে
রয়েছি হাটে বাজারের তরে,
গ্রাম অামার বহু দূর
যেতে হবে একা পথে।
ভেবেই অামার গা ছমছম করছে
হাট ছেড়ে দু'টি গ্রাম পাড় হয়ে,
অাছে দু'ট বাঁশ বন
পাড় হলেই অামাদের অতুলপুর গ্রাম।
বাজার শেষে খোদা নাম মনে জপে
পা বাড়ালাম বাড়ির দিকে,
চারিপাশ মানবশূণ্য কেউ নেই কাছে
ভয়ে অামি চুপিসার কথা নেই মুখে।
নিয়ে মনে ভয়ের পাহাড়
পাড়ি দিলেম একটি গ্রাম,
মনে তখন অনেক সাহস
অনেক পথ হলেম পাড়।
দ্বিতীয় গ্রাম পাড় হয়েছি
পা দিয়েছি প্রথম বাঁশ বনে,
একটা অজানা পাখির ডাকে
জোড়সোড় হয়ে গেল মন অামার।
ভাবছি অামি মনে মনে
প্রাণ বুঝি যায় চলে,
ভূতে এবার পেল মোরে
রক্ষে নাই বুঝি অার।
দ্বিতীয় বাঁশ বন প্রায় শেষ পাড় হতে
কে যেন পিছন থেকে,
নাম ধরে ডাক দিল
ভয়ে অামার প্রাণ বুঝি উড়িল।
দিলাম এক চিৎকার অনেক জোরে
গায়ে যতো জোর ছিল,
সব শক্তি এক করে
দিলেম দৌড় বাড়ির পানে।
তবু শুনি বারে বারে
নাম ধরে ডেকে চলে,
অাচমকা অামি চোখ খুলি
মা ডাকছেন বিছানার পরে।