প্রকৃতিতে বসন্ত ছিল বুঝতেই পারি নাই!
গাছে গাছে কোন ফুল ফুটেনি!
পাখির কন্ঠে গান আসেনি!
শিমুল পারুল,কৃষ্ণচূড়া চোখে পড়েনি।


হয়তো কিছু ফুল ফুটেছিল!
পাখির কন্ঠে গান উঠেছিল!
কিন্তু বাসন্তী সুভাস ছড়ায় নি!
হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায় নি।


সারা বসন্ত জুড়ে ছিল নিরবতা,নিস্তব্ধতা
ভয়,আতংক,আর অসহায়তার ছাপ।
হাট বাজার,শহরগুলো ছিল জনশূন্য!
জনাসমাগম এড়াতে সবাই ছিল ঘর বন্ধি।


মসজিদগুলোতে জামাতের কোন নামাজ হয়নি!
মন্দিরে হয় নি আর আগের মত ঢাকঢোল পিটিয়ে পূজা!
গীর্জা,প্যাগোডাসহ সকল ধর্মলায় ছিল একই।


বাতাসে ভেসে আসে লাশের গন্ধ!
হৃদয় ভাঙা হু হু কান্নার শব্দ।
সবাই ব্যস্ত লাশের মিছিলে!
ধরা যেন মেতেছে এক নিরব যুদ্ধে।


অদৃশ্য এক ভয়ংকর শত্রুর সাথে
ডাক্তার,নার্স,আর্মি পুলিশ যেন অনবরত যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
তবুও কমছে না মৃত্যু!কমছে না আক্রান্ত!
এযুদ্ধে কবে জয়ী হবে ধরিণী!
আজও সে আশার আলো ফুটে নি।


বহুদিন হল কোকিলের গান শুনিনি!
শুনিনি পাখির কিচিরমিচির শব্দ।
আজ হঠাৎ পাখির কিচিরমিচির আর
কোকিলের কুহুকণ্ঠে ঘুম ভেঙ্গে গেল।


তবে দিনটি আর আগের মত নেই!
নেই আর আগের মত কাক ডাকা ভোরে উঠে
রং আর আবির নিয়ে ছুটাছুটি।
নেই কোন আনন্দ উৎসব, হৈ উল্লাস।
তবুও আজ নববর্ষ!নতুন সকাল!নতুন দিন!


কে বলিবে আজ চৈত্র পেরিয়ে ১লা বৈশাখ?
বসন্ত পেরিয়ে গ্রীষ্মের আগমন।
তবুও আজ বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ
সময় তো আর কারও জন্য থেমে থাকে না।
সে তার আপন গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে।
আশা করি এই দিন পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই
আমাদের সুদিন আসবে,নতুন সুর বাজবে।
                 [শুভ নববর্ষ]