শরৎচন্দ্র,
আপনি আজ জীবিত
নেই বলেই
আমাদের অব্যক্ত যন্ত্রণাগুলো,
এখন আর
ঐ নাগরিক আকাশে ওড়ে না...!
এমনকি
আজকাল আপনার মতো
তেমন করে
কেউই লেখে না :
কলমের খোঁচাতে
আমাদের অবর্ণনীয় দুঃখের
কোন শ্লোক—


শরৎচন্দ্র,
আপনি আজ জীবিত
নেই বলেই
'রাজলক্ষ্মী', 'অভয়া',
'রমা', 'কমলে'র আত্মা'রা—
ডুকরে ডুকরে কাঁদে...
খুঁজে চলে—
মুক্তি পথের হদিস দেওয়া,
সেই সংগ্ৰামী পুরুষকে...
যিনি 'বর্ণপরিচয়ে'র
আইনী ভাষা'কে
দিয়েছিল সহানুভূতি'র স্পর্শে
সাহিত্যে জীবন্ত রূপ—


শরৎচন্দ্র,
আপনি আজ জীবিত
নেই বলেই
ধর্মের জঘণ্যতম মিথ্যেগুলো
শঙ্কাহীন ভাবে
শাসন করে যাচ্ছে বৈজ্ঞানিক সত্যকে—
এমনকি,
আদিম হিংস্রতাকেও
হার মানিয়ে
মেতে উঠছে পৈশাচিক নৃত্যানুষ্ঠানে!


শরৎচন্দ্র,
আপনি আজ জীবিত নেই—
তবুও,
'পথের দাবী'র 'সব্যসাচী'
পথ ভুলে যায়নি...!
হয়তো,
সামান্যতম সময়ের জন্য
হারিয়েছে সংগ্ৰামী বন্ধুদের...
কিন্তু, তাতে কি হয়েছে?
আবার খুঁজে নেবে...
নয়তো
আপনার রেখে যাওয়া অনন্য চিন্তায়
নূতন করে গড়ে নেবে :
'শোষণ' নামক মহামারী রোগের
মহা প্রতিষেধক...


------------------------------------
   (রচনা কাল : ১১/০৪/২০২০...)