করিম চৌধুরী ধরে নিন,
   কোন একজনের নাম।
অফিসের পিওনের পদে,
  ফাইল টানা তার কাম।


বেতন পায় কতো? বলবো?
   " ছাব্বিশ" কাছাকাছি!
সে শুধু ই ধমকায়! - খুব,
  করেনা কোন বাছাবাছি।


বড় পদে বড়ো স্যারের  "রা"
     তার সাখে গড়ে সখ্য!
মাঝে মাঝে ভোজনে অতিথি,
বিয়ে, আকীকা- উপলক্ষ!


প্রমোশন, নিয়োগ, নতুবা-
  কারো বদলীর জন্য,
এক নামে ডাক পড়ে তার-
    সবাই কে করেন ধন্য।


অফিসের অলিখিত বস,
  সবাই বেশ মানে রে,
কাজের টেন্ডার হলে,
  কদরে বুকে তে টানে রে,


কোন কাজের কি স্যাংশন,
     কেমন হবে?  কি হবে?
ঠিকাদার তাই ঘুরঘুর,
    মন দখল চায় সবে?


সরকার আয় -যায়, তবু-
   নেই তার প্রোবলেম।
আজ পর্যন্ত কোথাও কেউ,
  দেয় নি তো,- ক্লেইম।


সব সরকারে আমলে ই,
    সেই থাকে  ক্ষমতায়,
"চিনিগুড়া " তাই খেয়ে নেয়,
পিপড়াদের মমতায়।


ছোটো পদে থেকে, -চলে তার,
   বড়দের কে শাসন।
মন্ত্রী র সাথে থেকে, কভু-
   বলে সততার ভাষন।


ভাষনে মুগ্ধ হয়ে - কেউ,
    দেয় জোরে হাততালি।
তিনি হলেন দেশের গর্ব,
   শত্রুর মুখে দে ছালি।


তিনি দিবেন এবার নাকি,
   হাজার দুয়েক শাড়ি।
লুঙ্গি দেবেন তারো বেশি,
    গেলেন দেশের বাড়ি।


সারা গ্রামে রব পড়ে গেল,
  আসলো মানুষ বহু।
অনেক লম্বা সাড়ি ধরে,
  তীব্র রোদে পুড়ছে - উহু।


দীর্ঘ সময় লাইনে থেকে,
    নিচ্ছে লুঙ্গি শাড়ি।
অধৈর্য হয়ে হঠাৎ করে,
   শুরু হইল- কাড়াকাড়ি।


কার আগে কে নিবে?- হচ্ছে,
    ভয়ানক বাড়াবাড়ি।
এলাকার মোড়ল উলটে,-
    শুরু হলো যে মারামারি।


মোড়লকে উলটে ফেলেছে,
  পাশের গাঁয়ের "জন"
এই অপমানের লজ্জায়,
  প্রতিশোধের নেয় পণ।


বাড়ি থেকে দা কুড়াল এনে,
   করে ভীষণ হামলা।
দুই গ্রামের মানুষ গিয়ে
    থানায় চালায় মামলা।


ওসি সাহেব বলেন এসে,
   এখন রোজার মাস।
ইফতারির খরচ দাও।
  নইলে খাবে বড়ো বাশ।


দুইগ্রামের মানুষ ভাবিয়া,
করলো উপায় বার।
ওসির টাকা দিতেই হবে,
নাই  কোন  উপায় আর।


চাঁদা তুলে বিভেদ ভুলে,
  কিনে শাড়ি লুংগি।
একে অপরকে দিয়ে বলে,
চলো অভিমান ভাংগি।


বিভেদ তুলে কি লাভ বলো?
  ওসির ই পোয়া বারো।
মিলে মিশে থাকব সবাই,
   সুন্দর করে আরও।