ঘটুক - রটুক কিংবা পটুক
অবান্ধব কাছে এসে জুটুক!
ঢিমে তেতালা হয়ে ছুটুক!
ভাষার প্রণয় পুষ্প নাহি ফুটুক!
ভাষার দাররক্ষী  নাহি খুলুক দৃপ্র দোর!
নয়ন নাহি অবলোকন করুক সোনালী ভোর!
কাগজের তৈরী চকচকে নোট!
পালিয়ে গিয়ে যতই হানে চোট!
স্বজনের বিষ ছুরি আঘাত হেনে
বিষ বাণে বিদ্ধ করুক হৃদয় খানে!
জীবন যতই হোক তথবৈচ - উন্মাদ!
হাড়িয়ে যাক যতই জীবনের সাধ!
রোরুদ্যমান সমাজে তীব্র দীর্ঘশ্বাস!
যতদিন দেহে আছে বিধাতার সেরা উপহার - নিঃশ্বাস!
কেহ ভালোবাসুক কিংবা ঘৃণার সাগরে!
ভাসিয়ে দিক- এক চাগাড়ে!
আহ্লাদী নয়নে কেউবা গদগদ!
ঘৃণার চোখে যতই শদনতো!
  হৃদয়ের এই অনুর্বর ভূ-খণ্ড
অনাবাদি রবেনা এক দন্ড!
চলবে কেবলই ছন্দের আনাগোনা!
হোকনা পাঠক মাত্র হাতেগোনা!
হোকনা সাহিত্যের মানের সাথে,
আমার রচনা কেবলই বাতিল খাতে!
হোকনা কারোর বিরক্তির কারণ
যতই তোমরা করো বারণ!
কলম সামনে এগিয়ে --- লিখব কবিতার নামে যাচ্ছেতাই!
দোহাই তোমরা বাধা দিওনা!-- শ্রদ্ধার সাথে বলে যাই!!
ঘটুক - রটুক কিংবা পটুক
হোকনা তাদের গলা বাজখাঁই!
কবিতার সাথে সহবাসী হয়ে --
যদি পার হৃদ মাজারে দিও ঠাই।
কবিতার আসর বসানো হোক
সংস্কৃতি আর আড্ডার ফাঁকে।
উপহার হিসেবে কবিতার বই দাও,
প্রিয়জন-- বাবা,ভাই বোন আর মাকে।
ছড়া দিয়ে পড়া দিয়ে চলো সাজাই দিল।
তবেই কেবল হবে শিক্ষার সাথে হৃদয়ের মিল।
মিলে মিলে বিলে বিলে,
চলবে কবিতার চাসবাস।
ভালোবেসে কেউ ফুল দিতে পার,
নইলে দিতে পার বাশ!
এ এক কবির ব্যাথাতুর হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস!