বাবা নাম দিয়েছে ভুলু,
চেহারাটা গুলু গুলু,
  ঘুম চোখে সারাটা দিন-
থাকে সে ঢুলু ঢুলু।


সারাটা দিন ঘুমে ঘুমে,
কাজ করে ধুম ধামে,
শিডিউলে ফাঁকা নেই,
অবসর রাখা নেই।


কাজে কাজে ঘেমে ঘেমে,
হয়ে যায় একাকার।
এই যায় চাঁখার।
টিকিট কাটে ঢাকার।
কখনো বা প্লেনে,
কখনো বা ট্রেনে,
সারাদিন ই ব্যাস্ত,
রাজ্যের সকল কাজ-
তার হাতে ই ন্যাস্ত।


সে যায় কুয়েত,
সে যায় চুয়েট
সমাবর্তনে যায়
কখনো বা বুয়েট।


মিডিয়ার ক্যামেরা,
সারাদিন ই তার দিকে।
কিছু যদি বলে ফেলে,
হেডলাইন হয়ে থাকে।


কখনো যায় সিঙ্গাপুর,
কখনো যায় গঙাপুর,
তার হাতে বহু কাজ।
স্যুট বুট তাই সাজ।
সেজে সেজে ভুলু
হয়ে যায় পুলু


নাম তার ভুলু।
অতি ব্যাস্ত হয়ে,
চোখ ঢুলু ঢুলু।
খুশিতে কখনো
দিতে থাকে লুলু।
কাজ করে চমৎকার,
কখনো শবযাত্রা,
কখনো সৎকার।
সে যায় ডাকার,
সে যায় পাতায়া,
কখনো ব্যাংকক,
কখনো বোটায়া।


তার নেই ফুরসত,
দম ফেলার মতো।
সারাদিন পেশাদার,
ব্যাস্ত সন্ত্রস্ত।
এভাবেই কেটে যায়
ভুলুর রাত দিন।
ভুলু মহাবিশ্বে,
আজব ও রঙিন।
,,,,,,,,,,,,,