হে প্রিয় স্বাধীনতা!
তোমাকে পেতে গিয়ে ভাঙলো সখিনা বিবির ঘর,
  অকালেই পঙ্গু হলো রমিজ মোল্লা।
ধানক্ষেতে সোনালী ফসল নষ্ট হলো-
  কাদের ব্যাপারীর পঁচা লাশে।


শান্তি রাণী জন্ম দিয়েছিল জময বাচ্চা!
  পিতৃহীন টলোমলো দোদুল্যমান জীবন!
উসকোখুসকো কুন্তলে পোকামাকড় এর সাথে সহাবস্থান !
খ্যাপাটে পাগলি যার উপাধি।
সে স্বাধীনতা শুনতে চায়না!
বাংলাদেশ শুনতে চায় না!
শুধু তার সন্তানের পিতৃ পরিচয়!


স্বাধীনতা তুমি ফিরিয়ে দাও!
রহিমা বিবির হাসি-হাসি বদনখানি!
সন্তানের পন্থ পানে চেয়ে থেকে - নির্বাক পাথর হয়েছে যে।
হাসতে গেলে কেঁদে ফেলে সে!


স্বাধীনতা তুমি কেমন করে?
ফুল শয্যার রাতে-
স্বামীর বুক থেকে স্ত্রী কে কেড়ে নিলে?.
রক্তস্নাত নিথর  দেহ -
  ভাগাভাগি করে খাচ্ছিলো শকুনের দল!
রক্তের রঙ হাতের মেহেদী অস্পষ্ট করে দিয়েছিল!

তুমি কেমন আচরণ করলে স্বাধীনতা!
দ্বাদশী কন্যা শিমু!
পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী।
পাঁচ নর পিশাচ যাকে খাবলে খাবলে খাচ্ছিলো!
শেষ নি:শ্বাসে যাকে এক ফোঁটা জল দেয়া হয় নি!
  ঢেকুর তুলতে তুলতে সে প্রাণ বায়ু ত্যাগ করেছে।


,,উল্টো পথে( ১)
   আমরা,,
আমরা কাঁদার সময় হেসে ফেলি
হাসার সময় বসে কাঁদি?
আপন ভাই কে দূরে সড়িয়ে দিয়ে
  অপর কে ভাত পাতে সাধি!


খাওয়ার সময় রান্না বসাই
রান্নার সময়েতে  খাই!
যাওয়ার সময় আসতেই থাকি
আসার সময়ে চলে যাই!


বীজ বোনার সময় চষতেই থাকি!
চষার সময় বীজ বুনি!
নিজের পাপকাজ ভুলেই যে যাই,
অন্যর হিসাব নেই গুনি!