১.যদি হতো,,,


দিনগুলো সব যদি হতো,
  ঈদের দিনের মতো।
প্রাণে প্রাণে খুশির আমেজ,
হিংসা ভুলিয়ে দিতো।


দিনগুলো সব যদি হতো,
ঈদের দিনের মতো।
ধনীর বদান্য গরীবেরা,
  পেটপুরে দুটো খেতো।


খুশিগুলো সব যদি হতো,
  ঈদের খুশির মতো।
হাজার দু:খ হামলা করে,
   নাস্তানাবুদ হতো।


দানের অভ্যাস যদি রতো,
  ঈদের দানের মতো।
সমাজ থেকে এক নিমিষে,
  দারিদ্রতা চলে যেতো।


মানুষগুলো যদি মানতো,
   ঈদের প্রকৃত শিক্ষা।
সর্বোচ্চ ত্যাগের নিমিত্তে,
  পুঁজিত নতুন দীক্ষা।


ঈদে যেরুপ বুকে নিচ্ছে,
     ভালোবেসে বাহু ডোরে।
ঈদের খুশি রয়েই যেতো,
    বাংলার ঘরে ঘরে।


২. খোকন সোনা,


খোকন সোনা রাগ করেছে,
   যাবে না সে ঈদে।
সাধতে গিয়ে ব্যার্থ হইলো,
  মা,দাদা ও দিদে।


খোকন সোনা আজকে নাকি,
  উপোস থাকবে।
দরজা খুলবে না যতই,
তোমরা ডাকবে।


এতো রাগের কারণ জানা,
  নেই কেন কারো?
মা জানে খোকন সোনার,
  কিছু চাই আরো।


ঈদ সালামী খেলনা দিলো,
তবু তো হাসে না।
খোকন সোনা ঈদের খুশি,
তবে ভালোবাসে না?


খোকন সোনা হাসবে তবে,
  কি আছে এনে দে।
হঠাৎ করে খোকন সোনা,
  হাউমাউ কাঁদে।


বাবার হাত ধরে ই তবে,
  যাবে ঈদ গাহে।
খেলনাপাতি কিনবে শুধু,
  মন যেটা চাহে।


এমন সময় বাবা তার,
   কল দেয় ফোনে।
বাবার সাথে কান্দে শুধু
  তীব্র অভিমানে।


তোমার মতো অনেক খোকা,
  যেন থাকে ভালো।
তাই তো বাড়ি যাই নি ঈদে,
    ছুটি নাহি ছিলো।


তোমার ঈদ নষ্ট করে,
  হাসে অন্য জন।
সবার হাসির দায় নিয়ে,
  সতর্ক সারাক্ষণ।


  
  
   ।