তাফসির
এম এম মিজান।


শীতের সময় এলে রে ভাই,
  তাফসিরের লেগে যায় ধুম।
চারিপাশে মাইকের শব্দে
  ছুটে যায় দুই চোখের ঘুম।,


গভীর রাত পর্যন্ত চলে,
  মাহফিলের যত কার্যক্রম।
ফজর নামাজের সময় যে,
  উঠে না ছেড়ে লেপের গরম।


বাড়ি বাড়ির দরজাতে হয়,
   মাহফিলের এ আয়োজন।
শ্রোতাদের অংশগ্রহণ নেই,
   তাই দেয়া হয় শেষে ভোজন।


ছোটো ছোট শিশুদের কে তারা
   ভিক্ষার মতো থালা হাতে দিয়ে।
চাদা আদায়ের জন্য সূদুর,
     দিকে দিকে দেয় তারা পাঠিয়ে।


ভাইরাল মুফাসসির পেতে,
  কমিটি করে কত কারসাজি।
থাকা, খাওয়া, যাতায়াত সব,
   অগ্রিম পাঠিয়ে দিতেও রাজি।


মসজিদ কর্তৃপক্ষের মতে,
  খরচ শেষে কিছু যদি থাকে।
বাকি টাকা কাজে লাগিয়ে দেব,
   কেউবা সুদে টাকা জমা রাখে।


মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ভাবছে,
   ফান্ড রাখতে সচল করে।
বছরে একটা মাহফিল যে,
  দিতেই হবে লোকজন ধরে।


বক্তা এখন তক্তার মতো,
  নেই আমলের কোন ই কথা।
কিচ্ছা কাহিনি বয়ান করে,
   ধর্মের নামে শুধুই অযথা।


এক বক্তা আরেক বক্তা কে,
  কাফের - বিধর্মী ফতোয়া দিয়ে।
আলেমের ভিতর শুধু তারা,
  দেয় ভীষণ ফিতনা লাগিয়ে।


আগের দিনে মাহফিল হত,
  আল্লাহর সন্তষ্টি পেতে।
এখন মাহফিল আয়োজন,
   ফান্ডের টাকা সমুলে খেতে।