হিম হিম বায়ু বইছে - শীতল পরশ কইছে।
এসে ই গেলাম তোমার আঙ্গিনা মাঝ।
কুজ্ঝটিকায় ঢেকে দিব তোমার,
কাক ডাকা ভোর কিংবা গতুয়া বধুর সাজ।
শীতের রাতে রঙ-রসেতে  ভিজিয়ে ভাপা পিঠার খন্ড!
কিযে সুস্বাদু চুলোর দ্বারে বৃত্তাকার হয়ে
গরম গরম চিতই পিঠা- তর সইছে না এক দন্ড!
হুড়োহুড়ি কারা কারি খেজুর রসের পায়েস নিয়ে!
বিয়েটা ই যেন অপুর্ন থাকবে,
জামাই কে বিবিয়ানা পিঠা না দিয়ে!
চিতই পিঠা কে দুধে চুবিয়ে,
  দুধ চিতইয়ের স্বাদ যে দেখে নি চেখে।
সে কোন বাঙালি ই নয়!
তাকে অবাঙালি হিসেবে দেও রেখে!
লবঙ্গের সাজে লবঙ্গ লতিকা,
  মুঠো পিঠার স্বাদে চলে অতিথি বরণ।
কুলি পিঠা আর গোলাপ পিঠার স্বাদে,
বাঙালির জিভ করে অমৃত রসাস্বাদন।
মিষ্টি ক্ষীরের পাটিসাপটা,
নব নওশার মনে দেয় দোলা।
নকশী পিঠা না পেলে
   কনে পক্ষের কান যে হয় ঝালাপালা।
শত রকমের  মজার পিঠায়
    শীতের সময় বাঙালি মজে।
এই মিষ্টি ঋতুর চেয়ে অন্য ঋতু,
আছে? তোরা আমায় একটু ক' যে!