”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
একি শুনিতে হইলো কর্ণযুগলে !
একি বায়ু বহে গেল নিলয়ময় !
কেন নসিকাযুগলে হচ্ছে মন্দখেলা ?
নিজে কেন স্তম্ভিত মম চিৎকারে ?
এমন একখানা চিৎকার নিখিল বিশ্বময় ,
জানান্ জানে সকলে , বলিতে নাহি পারে ।


বলিবে কি করিয়া হায় ,
বলার তো ভাষা ইহা নয় ,
ভাষা তো সব ফুটে উঠে মুখে ,
এ ভাষা কভু মুখেতে নাহি হয় ।


এ ভাষা তো জানে আদিম কত কথা ,
এ ভাষায় শুনি তীক্ষ্ণ অপবিত্রতা ,
নিত্য কত যে ঢং ফুটে উঠে এ ভাষায়,
জনে জনে তাই নানান বিভিন্নতা ।


কি হইলো ইহা , বলাটা বড় অপ্রয়োজন ,
যদি পাশে থাকে কেহ , এক কিংবা অধিক ,
আপন মুখ হতে নি:সৃত নাহি জানি,
তবু তাহাদের মুখে শুনি হাসি ওঠে ফিকফিক্ ।


আহা , একি লজ্জা , কিন্তু ইহা তো অপ্রাকৃতিক কিছু নয় ,
জ্ঞানীর বাণী জানি ইহা ত্রি-ধাতুর একখানা ,
যেমন সহোদর দুখানা আছে বড় জানা ,
পিত্ত আর কফ্ জানিবে নিশ্চয় ।


ইহাতে অস্বাভাবিক এমন কি আছে ,
ছোটঘর ছাড়াও তো ছেড়ে দেয়া যায় যখন-তখন ,
ছাড়িয়া দিতে তো পরিবেশ লাগেনা সাহিত্যিক ,
শুধু লাগে খানিক ধ্যান , যাতে কভু নহে ফাটে গগন ।


ফাটিয়া গেলেই বিপদ ,
লাগিবে মুখের বিশ্বযুদ্ধ ,
এ যুদ্ধে কামান-বিমান ফেল ,
হো হো রবেতে ভাসে হাসির সমুদ্র ।


নাহি ভয় , নাহি ভয় , ফাটবেনা যদি জানি ,
তবু ছাড়িবার কালে ,
হাতখানি রেখে গালে ,
ভাবিতে হইবে আপন ভক্ষিত খাদ্য পদখানি ।


হাঁ , পড়িয়াছে মনে ,
কভু ”মুলা” গেলে পেটে এই কাজ চলবেনা,
কারণ একবার হইলে গযব, কি যে হইবে ,
ইহা বলা দুষ্কর , বলিতে পারিব না ।


বলিবে কেবল তাহাদের নাক ,
যাহারা ভুক্তভোগী ,
হায়রে ভুক্ত , জোয়ান সুদ্ধ ,
লাফিয়া বনিলো রোগী ।


লাফাবেনা কেন বল ?
প্রথমে হাসিলো , পরেতে কাঁশিলো ,
পরেতে কি হইলো কে জানে ?
তড়ি-ঘড়ি করে দৌড় দিল আশে-পাশে থাকা সকল ।


তাই বলি ভাই , ছাড়িতে হইবে জানি ,
জানি ছাড়িতে হইবে ইহা ,
যখন-কিংবা তখন ;
তবু ছাড়িবার কালে অবশ্যই উচিৎ ভাবা ,
জানা আছে সকলেই ছাড়ে ইহা ,
তবু ”টাইমিং” হতে হবে ঠিক মতন ।


ওগো বন্ধু , যদি ভাবিবার সময় নাহি থাকে ,
যদি এই বেগ আটকানো নাহি থাকে বাগে ,
যদি চোখ-মুখ হইয়া আসে গরম ,
তবে ছাড়হ তুমি আগে ।


কেন ছাড়িবেনা বলো ? ইহাতো তোমার কেবল নয় ,
আমার কেবল নয় , বরং সকলের অধিকার ;
এ অধিকার দিয়াছে বিশ্ব , প্রকৃতি দিয়াছে ,
দিয়াছে দুইপদ মাঝে লুকানো চমৎকার ।


তবু বলি তারে , যিনি ছাড়িলেন –
ফাটাইয়া সংসার ;
জানি আপনি চান না ,
তবু আসি বে এই চিজ জীবনে বারবার ।
””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
রচনাকাল : ২০ই ফাল্গুন , ১৪১৯ ।


বি : দ্র : (একটা ”ননসেন্স” কবিতা লেখার ব্যর্থ চেষ্টা চালালাম )