গাছের ডালে বসল পাখি , তাকালো চারিদিক ,
বাতাস এলো দখিন থেকে , সূর্যও আছে ঠিক ।


পাখির কিযে হলো মনে , মাথাটা করল নিচু ,
আঁড় চোখে তাকালো , যেন ঠিক খুঁজে পেলো কিছু ।


ফুরুৎ করে উড়লো , পাখি উরুৎ করে এলো ,
ঠোঁটের মাঝে কি জানি হায় , দেখতে এলোমেলো ।


যেই এলো নীড়ের কাছে , কিচির-মিচির চেঁচো ,
এলোমেলো নয়তো ওগুলো , গোটা দু’য়েক কেঁচো ।


কিচির-মিচির পাখির ছানারা , ঠোঁটে আস্ত হা ,
কেঁচোগুলো ঠোঁটে ঠেসে দিয়ে , বলল , মানিক খা ।


পাখির ছানারা খেলো কেঁচো , পাখিটা খেলো নাতো ।
পাখি খেলো না কেন ? কেঁচো খেতে কি ভীষণ তেঁতো ?


কিচির-মিচির পাখির ছানারা , ডাকে মা , মা , মা !
ঘুরে তাকালো পাখি , যেন বলল মানিক দাঁড়া ।


আগের মতই উড়ল পাখি আর ফিরে এলো ,
ঠোঁটেতে কেঁচো গোটা দু’য়েক , দেখতে এলোমেলো ।


ঠোঁটে ঠেসে দিয়েই পাখি , মাথায় মাথা লাগায় ,
আদরেতে ছানাগুলোর পুঁচকে মাথা ঝাঁকায় ।


বসল পাখি ছানাদের পাশে , বুকে টেনে নিয়ে ,
এ প্রকৃতির আসল ছবি , গড়া মমতা দিয়ে ।


সত্যিকারের ভালবাসা , যায়না তো ভাই ধৃত ,
এ ভালবাসা যে সত্যিই পরম , নাম মাতৃত্ব ।