কবিতা -
তুমি চুপচাপ এসে ,
আমার কানেতে হেসে ,
শুনিয়েছ আশাবাণী  যত রাস্তার ঐ পথিকের ।
আর আমার কলমেরা ,
কেঁদে কেঁদে হল খুন ,
শত লাল লাল কাগজের বুকে ,
মিথ্যের আশ্বাস পথে ,
ক্যান্সার ধরা কালিতে ।
এই গ্রীষ্মের রোদেলা তীরে ,
আমারই ভাবের নদী ,
সন্ধ্যার চোখে নির্ঘুম ত্বকে ,
তাকিয়ে থাকে সদ্য গজিয়ে ওঠা -
দাগ পরবে পরবে করা ব্রনের দিকে ।
আর কবিতা -
তুমি সেইখানেই ছুরি মারা ,
আবাবিল পাখি হলে ;
আমি নির্দয় ,
ভাঙা হৃদয়ের সুখহীন রজনীতে -
কাব্যপ্রত্যাশী ।
যেখানে চোখেরা ছলছল করে কাঁপতে থাকে ,
আর সেই সুখে বখাটে গদ্য মুখে ,
ফুলে ফেঁপে উঠে সুরহীন কামনার শিস ।
তাদের বুকেতে ছ্যাপ ছুঁড়ে দিয়ে ,
তুমি কবিতা হলে কলমে ,
আর আমার বুকেতে বিষ ।
যখন আযান ভেসে আসে কানে ,
পাখিদের ঘুম ভেঙে যায় গানে ,
আমি দাড়িয়েছি ইকামাত দেব বলে ,
ইমামের পিছে ।
শয়তান বেশী কবিতারে তুই খুশুখুজু দিলি ভেঙে ,
তাকবির বেঁধে তাই ভয় পেয়ে যাই ,
তওবাটা করি মুখে ,
তিনিই তো জানেন পুরো হৃদয়ের কথা -
কবুল হলে থাকব সুখে ।
তবু সুখ নাই এ ব্যাথার বুকে ,
কেন তা আমার কলম জানে ;
কবিতারে তুই রহমত হলি ,
এই যুগ যুগ ধরে পাথর হওয়া বুকে ।