প্রভাত পবন বলে,দেখ খুলে বাতায়ন,
দেয়ালা খেলায় আজ ভিজে যাক তোর মন।
নতুন কুসুম কলি রাঙিয়ে ওঠার আগে,
দেখে যা এখনি চেয়ে,কেমন করে সে জাগে?
কোমল কচি শিশুর কপোল ফুলিয়ে হাসি,
মিলে কোলাকুলি করে শত চুম্বনে উচ্ছাসি,
চাঁদের মোহিনী প্রেমে ওরা,ঘুমে যায় ঢলে,
জেগে ওঠে ছেয়ে ভোরে,শুভ সৌরভে হিল্লোলে।
এমনি দ্যুলোক সুধা ভরা হেথা অফুরান,
ধরণী সেজেছে যেন অপরূপ মেহমান।
তাই দাঁড় প্রতি ক্ষনে টেনে চলি অবিরত,
বাজিয়ে ভৈরবী তান,ভরে বিনয়াবনত।


তারকার জ্যোতি মেখে,হীরক,মানিক দ্যুতি,
শিহরিত নয়নের শীতল সুখানুভুতি।
নির্জীব যদিও আমি,পায় যেন প্রাণ সাড়া,
বাতুল হয়েছি প্রেমে,ছুঁতে চেয়ে দিশেহারা।
সব মায়া ত্যাগ করি তাচ্ছিল্যেরই আবেশে,
শ্রেয়া-বপুর সন্ধানী,নিরবধি ভেসে-ভেসে।
উঠে আয় ক্ষণ যায়,ধীরে-ধীরে খোলে বৃতি,
চুপিচুপি মোর সনে দেখ-দেখি মিটিমিটি।


তোর জীবনের মাঝে ভরে আছে কালিমায়
যত দুখ সব ভুলে,আয় উঠে,দেখি আয়।
বিষাদের অবয়বে যায় না'রে বাঁধা তা'রে!
ঢেউ বায় অবিচল,ফোঁস তুলে বারেবারে।
ভেঙে যেতে-যেতে যদি,ফিরে পায় ডিঙিটা'কে
সে'তো মহান পাওয়া,মরনের পথ বাঁকে।
বহু দূরের দিগন্তে দীপ যেন জ্বলে ওঠে,
অনাবিল পরিতোষে,আশ মেলে,হাসি ফোটে।
ও শিখা দেখবি হলে রঙ্গনের অভিলাষি,
হৃদয়ে ধারণ করে,এক বার ভালোবাসি।


তাই'তো বেদনা বোধে আগুয়ান সব খানে
সুখী হতে আয় ছুটে,আঁখিঠার আহবানে।
যে ব্যথা জমেছে ভবে,আজ হবে সব দূর
'শরাব তোহরা' পিয়ে হয়ে ওঠ নেশাতুর।