আমি এনেছি বেলের মালা
যতনে গেঁথে বাগান থেকে তুলে,
নিজের হাতে পরিয়ে দেবো
রাগ করোনা,একটু খানি ছুলে।
অপরাজিতা পরনে শাড়ি
মেটে রঙের দ্বি-তল বাড়ি,
দেখছিলাম বারান্দাতে
শুকিয়ে নিতে লম্বা চুল খুলে।


আজ'ও আমি পাইনে সাথী,
তোমার আছে পরীর মত মেয়ে।
টাকের ব্যামো মাথার পরে
চশমা আঁটা,আবছা দেখি চেয়ে।
অনেক দিন পরেই এ'এলে
স্মৃতির ডালি আবার মেলে!
সে'সব কথা আসছে মনে?
তোমার পানে ছুটতো কে'ও ধেয়ে?


তুমি যখন বেঞ্চে বসে
করতে পড়া একাগ্রতা ভরে,
একাদশের শ্রেণী কক্ষে
আঁকি তোমায়,কলম খানি ধরে।
শাস্তি পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকি,
পড়াশোনায় চলতো ফাঁকি।
কি'হতো মোর নেইকো জানা
সদাই থাকি অচিত্তের ঘোরে।


প্রথম হতে প্রতি বছর,
আমি কেবল উতরে গেছি ক্লাসে।
বন্ধু যত তোমার ছিলো
আমায় দেখে মুচকি হাসি,হাসে।
জানতো তারা মনের ভাষা,
রোগ হয়েছে সর্বনাশা,
দিন-রাত্রি স্বপন দেখি
সবখানেতে তোমার ছবি ভাসে।


সাইকেলটা ভাঙা আমার,
শব্দ হতো,চলতো ধীরে-ধীরে।
সে অসিলাই ভালোই হল
দেখলে তুমি আমার দিকে ফিরে।
ও খুশী মোর কোথায় রাখি,
বোনের কাছে কিরূপ ঢাকি!
ঘুম আসেনা ভোর'যে হল
রবির আলো খেলে আমায় ঘিরে।


রবিবারে'ও ভুলের বশে
তৈরি হয়ে স্কুলেতে চলি,
বাবা বলেন জলাঞ্জলি!
হঠাৎ করে পাগল কবে হলি?
বলবো আমি কেমন করে
বাজনা বুকে ধড়াস জোরে,
এ'সব কথা যায়না চাপা
পাড়ার লোকে করছে বলাবলি।


সমাজ বড় কঠিন ছিল
হয়নি দেখা চেষ্টা শত সেধে!
কষ্ট গুলি লুকিয়ে থাকে
মনের মাঝে মুক্তা দিয়ে বেঁধে।
দেখি তোমায় সখির সাথে
ঘুরতে গেলে ধানের মাঠে,
বলবো কথা,সুযোগ আছে!
থাকগে আর,দিতেই যদি কেঁদে!


কবি গুরুর জন্মদিনে,
গাইলে তুমি দারুণ এক গান,
মাঝে,মধ্যে আমায় দেখো-
গভীর ভাবে,ধরা কম্পমান।
সেই,সেদিনে জানিয়ে দিলে
'তেল-জলেতে যায়না মিলে,
বুঝতে পারি তোমার কথা-
উপায় নেই,তুমি মুসলমান'!


নেই'যে ক্ষুধা,ভাল্ লাগেনা
জরাজীর্ণ রাত্রি জাগরণে,
কালি ছটার প্রলেপ মাখা
আঁখির কোনে লাগিয়ে প্রতিক্ষনে।
দ্বাদশ শেষে কোন কলেজে,
ভর্তি হলে না'বলে যে-
শুনেছিলাম শহর গিয়ে
বিশাল ফ্লাটে থাকো দিদির সনে।


এমন করে কাটলো বেলা
লুকিয়ে গেলে কোথায় জানা নেই!
জীবন তরী আটকে গেছে
পথ গুলিয়ে আঁধার কালো'তেই।
কলেজ শেষে পড়াই ছেলে
হাত খরচা যা'হোক মেলে
কাজ খুঁজেছি হন্নে হয়ে
পায়নি তবু টাকার অভাবেই!