প্রিয়তমা গেল না ফেরার দেশে সদ্যোজাতকে ফেলে,
শিশু অবুঝের ফুলেল দেয়ালা,দুই চোখ তার মেলে।
ওরে বাছা কেন কাঁদিস নে আজ সুনামির চিৎকারে!
আপন জননী খোয়া গেল তোর,ডাকবি মা তুই কারে?
রয়েছে সে লাশ হাসপাতালের ছোপ ধরা সাদা খাটে,
নিথর দেহটা পারিনা দেখতে,আমার কলিজা ফাটে!
ভাবতে না পারি কি করা উচিৎ,ওরে বল,কিছু বল!
তুই কি বলবি,মাথা নত করা দেবতার নেই বল।


কত আশা নিয়ে,তোর কত কথা কয়েছিল মোর সাথে।
প্রসবের ব্যাথা না বলেই এল,মুশকিলে রাত কাটে!
আমি যে গরীব যান পায় কোথা,সাড়া দেবে মোরে কেবা?
কিভাবে মিলবে সঠিক উপায়ে,সঠিক সময়ে সেবা?
ডাক্তার ওগো,কোথা ডাক্তার,শহরের ডাক্তার?
পেলাম না খুঁজে এই অসময়ে,ডাক্তারে হাহাকার!
কিছু দিন আগে গিয়েছি শহরে চিকিৎসা সন্ধানে,
প্রানের মূল্য কিছু নেই সেথা,ছুটে চলে টাকা পানে।
ভোর হতে যাবে হাসপাতালেই তুই এলি আলো করে,
পরিষেবা নেই,বাঁচাতে পারেনি,বৌ টা গিয়েছে মরে!


আগেকার দিনে কত যেত মরে,মরে যায় আজো মা রা,
ফালা-ফালা করে কাচি-ছুরি দিয়ে,এই ডাক্তার কারা?
টাকার অংক কমেনা কিছুতে,গরীব কিরূপে যায়?
আশাহত হয়ে পরে থাকে গ্রামে,হাসপাতালেই ঠাঁই।
ওরে কচি-কলি,বলরে আমাকে,মিথ্যুক কিরে আমি?
আমি যে অভাগা,মরে পরে থাকা অভাগীর দীন স্বামী!
আমি তো কাতিল,পারিনি বাঁচাতে প্রেয়সীকে দেব গোরে,
সেথায় দেখেছি ঘুমায় সমাজ আরামে ঘুমের ঘোরে।
ঘুমাক সমাজ,মরুক জননী,সমাজেই ক্ষনে-ক্ষনে!
একদা সমাজ তেজ হারা হবে জীবন আন্দোলনে।


আমার আগামী হারালো জননী,হারালো মায়ের দুধ,
ডাক্তার তুমি যেওনা'কো ভুলে মেটাতে আসল-সুদ।
একবার তবু দেখে যাও মোর দেবদূত সন্তান,
দায়হারা হয়ে করোনি কিছুই,রাখনি তো অবদান!
আমার নয়ন রক্ত সূর্য অবিরাম মসি ঢেলে,
প্রিয়তমা গেল না ফেরার দেশে সদ্যোজাতকে ফেলে।